কৃষিজাগরন ডেস্কঃ দানাশষ্যের পরেই ডাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশষ্য। ডাল আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের অন্যতম উৎস হিসেবে আমাদের দেশে এবং রাজ্যে ডাল বিশেষ করে মুগডালের বিশেষ গুরুত্ব আছে। বিশেষ করে যারা নিরামিষাশী তাদের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মুগ ডাল বিশেষ কার্য্যকরী। কারন, মুগ ডালে আছে ২৪ শতাংশ প্রোটিন। বাংলাতে মুগ ডাল খুব কম হয় না আবার খুব বেশিও হয় না তবে,কৃষকরা সঠিক ভাবে ডাল চাষ করলে মুগের ফলন প্রায় ১২ থেকে ১৫ কুইন্টাল পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে।
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মুগ ডাল চাষের বিভিন্ন বিষয় নীচে উল্লেখ করা হলঃ-
মুগ চাষের জমির প্রকার
-
প্রাক খরিফ মরশুমে উঁচু জমিতে।
-
রবি ও গ্রীষ্মকালীন মুগ নদীর চর ও ধানি জমিতে।
-
খরিফ খন্দে বৃষ্টি নির্ভর সমতল জমিতে প্রধান ফসল হিসেবে।
-
রবিখন্দে সেচ সেবিত জমিতে।
আরও পড়ুনঃ মুগের জাত: মুগের জাতের তালিকা, কম সময়ে দ্বিগুণ লাভ!
মুগ চাষে সুবিধা
-
মানুষের খাবার হিসাবে ব্যবহৃত হওয়া ছাড়াও মুগের পাতা প্রাণী খাদ্য এবং সবুজ সার হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
-
শিঙ্গীগোত্রীয় উদ্ভিদ হিসাবে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে।
-
স্বল্পমেয়াদী ফসল বলে যে কোন শস্য পর্যায়ে এটিকে যোগ করা যায়।
মাটি
-
দোঁয়াশ ও বেলে দোঁয়াশ মাটি উপযোগী।
-
জল নিস্কাশনের সুবন্দোবস্ত পলিমাটি।
জমি তৈরী
-
মৌসুমি বায়ু আসার সাথে সাথে জমি তিনবার চাষ করতে হবে।
-
শক্ত মাটির ঢেলা ভাঙতে হবে। এর পর আবার চাষ ও মই দিয়ে জমি মসৃণ করতে হবে।
-
জমি তৈরীর সময় জল নিষ্কাশনের সুবন্দোবস্থ রাখতে হবে।
মুগের জাত
-
সম্রাট (পিডিএম-১৩৯), পুসা-০৬৭২, পন্থ এম-৬, কে এম-২২৪১, পি ডি এম-৫৪১, টি এম বি-৩৭, বড়দানা বীজ হাম ১৬, এন এম-৯২, ভিসি-৬১৭, পন্থ এম-৬।
লাগানোর সময়
-
মার্চ-এপ্রিল (গ্রীষ্মকালীন মুগ)
-
জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত (খরিফ মুগ)
আরও পড়ুনঃ মাত্র ৭৫ পয়সা দাম একটি চারার,২ থেকে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হয়,জানেন কোন ঘাস? শিখে নিন চাষ পদ্ধতি
বীজের হার ও লাগানোর দূরত্ব
-
গ্রীষ্মকালীন মুগে প্রতি হেক্টরে ৩২ থেকে ৩৫ কেজি বীজ লাগবে।
-
খরিফ ও রবি মুগ এর জন্য প্রতি হেক্টরে ২০ থেকে ২৫ কেজি বীজ লাগবে।
-
সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সেন্টিমিটার হতে হবে।
-
গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১৫ সেন্টিমিটার হওয়া উচিত।
-
লাগানোর গভীরতা ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার।