ফুলকপি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল।এটি দেশে সবজি হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত আমরা ফুলকপির সবজি পাই বিশেষ করে ঠান্ডার মৌসুমে। কিন্তু এখন অনেক উন্নত জাত এসেছে , যেগুলো দ্বিতীয় মৌসুমেও চাষি ভাইয়েরা চাষ করছেন। শীতের মৌসুমে ফুলকপির সবজি প্রাথমিক পর্যায়ে এলে সাধারণত এর দাম বেশি থাকে। কিন্তু সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যায়। এমতাবস্থায় চাষীরা মাত্র কয়েকদিনের জন্য লাভবান হন।
অনেক সময় ফুলকপির দাম এত কমে যায় যে চাষিদের খরচও মেটানো যায় না, কিন্তু এখন কৃষি বিজ্ঞানীরা এমন কিছু উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন , যেগুলো চাষিরা জুন-জুলাই মাসেও চাষ করতে পারবেন। এ সময় বাজারে ফুলকপি পাওয়া যায় না। এ কারণে তাদের বেশি আয়ের সুযোগ রয়েছে।
এই জাতগুলি বেছে নিন
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ , পুসা নিউ দিল্লির গভর্নমেন্ট সায়েন্স ডিভিশনের একজন কৃষি বিশেষজ্ঞ ডঃ শ্রাবণ সিং বলেন , ' এই জাতটি জুন-জুলাই মাসে বপন করা হয়। এটি সেপ্টেম্বর , অক্টোবরের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যায় । তিনি বলেন, এর জন্য উন্নত জাত রয়েছে-
-
পুষা মেঘনা
-
পুষা অশ্বিনী
-
পুষা কার্তিক
-
পুষা কার্তিক সংকর
এসব জাতের আবাদ করে চাষিরা ফুলকপি থেকে ভালো আয় করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ কলা চাষে লাভের মুখ দেখছেন মিঠাপুকুরের কৃষকরা
প্রারম্ভিক ফুলকপি কি
এই জাতগুলোকে বলা হয় আগাম ফুলকপি। এর চাষের জন্য কৃষক ভাইদের খেয়াল রাখতে হবে মাঠ যেন জলাবদ্ধ না হয়। আগাম ফুলকপি এমনকী এমন জমিতেও বপন করা উচিত নয় যেখানে পোকামাকড় ও উইপোকা আছে। যে ক্ষেতে ফুলকপির ফসল রোপণ করছেন , সেই ক্ষেতে তা শোধন করা প্রয়োজন।
শীঘ্রই প্রস্তুত হয়
প্রথম দিকে ফুলকপির চারা 40-45 দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয় । এটির যত্ন নিতে থাকুন এবং সময়মতো আগাছা পরিষ্কার করুন। পোকামাকড় বা রোগ দেখা দিলে ওষুধ স্প্রে করতে হবে। আগাম ফুলকপি কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক।
আরও পড়ুনঃ সব জটিল রোগকে ১০ হাত দূরে রাখবে গ্রাম বাংলার এই পাতা