কৃষিজাগরন ডেস্কঃ বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে এদেশে প্রথম পোয়াল মাশরুম চাষ করা হয় তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে। ৩০-৩৮ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় এই ছাতু স্বাভাবিক ভাবে চাষ করা যায়। বর্ষাকাল এই ছাতু চাষের উপযুক্ত সময়। বর্ষাকালে খড়ের গাদায় এই ছাতু জন্মায় বলে এর নাম পোয়াল ছাতু। এই ছাতু খেতে খুব সুস্বাদু।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
১। ৩২ কেজি খান বা গমের খড়।
২। ২০০ গ্রাম মাশরুমের স্পন (বীজ)।
৩। পলিথিনের চাদর।
৪। স্প্রেয়ার।
৫। কাঠ বা বাঁশের মাচা।
৬। জীবাণুনাশক।
৭। ২০০ গ্রাম ডালের গুঁড়ো।
আরও পড়ুনঃ ঝিনুক ছাতু বা ওয়েস্টার মাশরুম চাষ করার পদ্ধতি
চাষ পদ্ধতি
-
পোয়াল ছাতু চাষের জন্য ছায়া ঘেরা জায়গায় ৬০ সেমি. চওড়া, ৬০ সেমি. লম্বা, ৩০ সেমি, উঁচু বাঁশের বা কাঠের মাচা বানিয়ে নিতে হবে।
-
ভালো শুকনো সোনালি রঙের আমন ধানের প্রায় ১ কিলো ওজনের ৩২ টি আঁটি বানিয়ে পরিষ্কার জলে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে নিতে হবে।
-
এরপর খড়ের আঁটিগুলি জল থেকে তুলে অতিরিক্ত জল ঝেড়ে নেওয়ার পর প্রথম ৮ টি আঁটি মাচার উপর এমনভাবে পাশাপাশি সাজাতে হবে যেন ৪ টি আঁটির গোড়ার দিক এবং বাকি আঁটির মাথার দিকে পৰ্য্যায় ক্রমে থাকে।
আরও পড়ুনঃ মাশরুমের রোগ জীবানু ও তার প্রতিকার
-
অনরূপভাবে আড়াআড়ি করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারি খড়ের আঁটি সাজিয়ে ১ম সারির মত সমপরিমাণ ডালের গুড়ো, মাশরুমরে বীজ ছড়িয়ে দিতে হবে।
-
চতুর্থ স্তরে শুধু ৮ টি খড়ের আঁটি পরপর বসাতে হবে। এই স্তরের উপর কোনো ডালের গুড়ো ও মাশরুমের বীজ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
-
এখন ৪ টি স্তরকে একসঙ্গে নাইলন দড়ি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। দিনে ১-২ বার হালকা ভাবে জল দিতে হবে। একটি পলিথিন চাদর দিয়ে মাশরুম বেড ঢেকে রাখলে বারে বারে জল দিতে হবে না।
-
বীজ বোনার ২ সপ্তাহের মধ্যে মাশরুমের কুঁড়ি বেয়ের চারধার থেকে বের হতে শুরু হয়। এখন পলিথিন চাদর সরিয়ে দিনে ২ বার জল দেওয়া প্রয়োজন।
-
পোয়াল মাশরুম খুব তাড়াতাড়ি পচে যায় সেজন্য মাশরুম ১-২ দিনের মধ্যেই তুলে নিতে হবে। প্রতিটি বেড থেকে গড়ে ২.৫-৩.০ কেজি ফসল পাওয়া যায়।