'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 22 May, 2021 10:35 AM IST
elephant foot (Image Credit - Google)

Elephants foot -ওল কচু এই সবজিটির বৈজ্ঞানিক নাম amorphophallus paeoniifolius। ওল মাটির নিচে জন্মানো একটি সবজি। আমাদের দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই ওলকচুর চাষ (Suran/Jimikand Farming) হয়ে থাকে। ওল কচুতে পুষ্টি ও ঔষধি গুণ উভয়ই বিদ্যমান। ওল কচু তরকারি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। ওলকচুর চাষ পদ্ধতি সঠিকভাবে না জানার কারণে চাষিরা তাদের কাঙ্খিত ফলন পান না। 

ভারতে প্রায় বেশিরভাগ রাজ্যেই কচুর দেখা মেলে৷ শুধু সবজি হিসেবেই নয়, অনেকক্ষেত্রে এর গাছ সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কারণেও অফিসে, বাড়িতে রাখা হয়৷

খাবার উপযোগী কচুর মধ্যে কয়েকটি জাত হল (Variety) -

পঞ্চমুখী কচু, দুধকচু, মুখীকচু, ওলকচু, মানকচু, পানিকচু, শোলাকচু প্রভৃতি। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই এর দেখা মেলে৷

কচু রাস্তা, বন জঙ্গলে পরিচর্যা ছাড়াই বেড়ে ওঠে৷ কিন্তু এগুলির মধ্যে বুনো কচুও বিদ্যমান যা খাওয়ার উপযোগী নয়৷ তবে সঠিক পদ্ধতিতে এর চাষ করে বিক্রি করতে পারলে এই কচুই আপনাকে লাভের মুখ দেখাবে৷ প্রজাতিভেদে কচুর মূল, লতি, পাতা ও ডাটা সবকিছুই খাওয়া হয়৷

এই কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বিদ্যমান যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে৷ বিশেষ করে বলা হয়, রাতকানা রোগীদের জন্য কচু অত্যন্ত উপকারী৷ তবে অনেকের কচুতে অ্যালার্জির ধাত থাকে৷ যাদের কচু খেলে সমস্যা হয়, তাদের এটি এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো৷

জলবায়ু (Climate) -

এই কচু চাষের জন্য আর্দ্র জলবায়ু হলে ভালো হয়৷ গ্রীষ্ম এবং বর্ষায় সহজেই এর ভালো ফলন পেতে পারেন৷ উত্তর ভারতের জলবায়ুকে কচু চাষের জন্য আদর্শ মনে করা হয়৷

মাটি এবং বপনের সময়-

কচু চাষের জন্য বেলে-দোআঁশ বা এঁটেল মাটি সবথেকে ভালো৷ তবে চাষের আগে মাটি প্রথমে তৈরি করে নিতে হবে৷ দুই থেকে তিন বার মাটি কর্ষণ করতে হবে৷ কচু চাষের আগে গোবর সার প্রয়োগ করে মাটিকে প্রস্তুত করে নিতে হবে৷ বপনের ১৫-২০ দিন আগে এই সার মাটিতে মিশিয়ে নিন৷ খারিফের মরসুমে, জুন থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি এর চাষ করতে হবে৷ 

সেচকার্য -

গরমের সময় ৪ দিন অন্তর অন্তর সেচকার্য করা যেতে পারে কচুর ক্ষেতে৷ আবার বর্ষাকালে কচু চাষের জন্য সেচের প্রয়োজন হয় না৷ কচু চাষের জন্য খুব বেশি পরিচর্যার বা পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না৷

কচু চাষে  আগাছা ও নিড়ানি (Weed Management) -

ওলকচু চাষে সময়মত আগাছা দমন ও নিড়ানি দিতে হবে। ধান, গমের খড় বা কচুরিপানা দ্বারা আচ্ছাদন দিয়ে ফলন অনেক গুণ বৃদ্ধি করা যায় এবং সহজেই আগাছা দমন করা যায়। চারা গজানোর পর আগাছা দমন করতে হবে।

কচু চাষে পোকামাকড় ও রোগদমন (Disease control) -

ওলকচুর কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই দ্বারা তেমন আক্রান্ত হয় না । তবে মাঝে মধ্যে ওলকচুতে লিম্ফ ব্লাইট কলার রট ও মোজাইক রোগ দেখা দেয়। আবার গোঁড়া পচা রোগ ওলের প্রধান ক্ষতিকর রোগ। চাকি লাগানোর আগে ছত্রাকনাশক ব্যাভিস্টিন  দিয়ে তা শোধন করে নিলে এ রোগ কম হয়।

আরও পড়ুন - Ruck tomato cultivation : জেনে নিন আধুনিক পদ্ধতিতে টমেটো চাষাবাদের কৌশল

কচু সংগ্রহ-

এর পাতা একটু হলুদ হলুদ হয়ে এলে এটি সংগ্রহ করা যেতে পারে৷ এটি সংগ্রহের পর তা শুকনো স্থানে রাখা যেতে পারে৷ রোপনের ২ থেকে ৭ মাস পর্যন্ত এর লতি সংগ্রহ করতে পারেন৷ ওলকচু লাগানোর পর প্রায় ৭ থেকে ১২ মাস পর সংগ্রহ করা যায়।

আরও পড়ুন - আসন্ন মরসুমে পেয়ারা চাষ করে কৃষকবন্ধুরা করতে পারেন দ্বিগুণ অর্থোপার্জন

English Summary: Cultivation of companion crop elephant foot for additional income during kharif season
Published on: 21 May 2021, 10:37 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)