কৃষিজাগরন ডেস্কঃ পুষ্টি ও স্বাদের দিক থেকে কচু একটি অন্যতম সবজি, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এর সাথে সাথে প্রচুর লৌহের যোগান থাকে কচুর মধ্যে। বাংলাদেশ সহ পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই কচুর চাষ করা যায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন নাম রয়েছে পানিকচুর যেমন- জাতকচু, বাঁশকচু, নারিকেলকচু ইত্যাদি। আধুনিক পদ্ধতিতে কচু চাষ করে আর্থিক লাভবান হওয়া যায় । বিভিন্ন জেলার কৃষকদের ভাগ্য ফিরেছে কচু চাষের মাধ্য দিয়ে।
কচু রোপণের সময়
আগাম ফসলের জন্য কার্তিক (মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য-নভেম্বর)। নতুন ফসলের জন্য মধ্য-ফাল্গুন থেকে মধ্য-বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল) মাসে লাগানো যায়। দক্ষিণাঞ্চলে বছরের যে কোন সময় কচু চাষ করা যায়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ৬০ সেমি. এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব হবে ৪৫ সেমি.।
আরও পড়ুনঃ মাশরুম চাষ করে লাভবান ঝাঝাঙ্গির চাষি সুনিল
কচু চাষের জন্য প্রয়োজনিয় জলবায়ু ও মাটি
কচু উষ্ণমন্ডলীয় ফসল। মাঝারী নিচু থেকে মাঝারী উঁচু জমি, যেখানে বৃষ্টির জল ধরে রাখা যায় এবং অতিবৃষ্টিতে জল বের করে দেয়া যায়-এমন জমি কচু চাষের জন্য উপযোগী। অনেক দিনের জলাবদ্ধতা কচুর জন্য ক্ষতিকর। জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি লতিরাজ কচুর জন্য উত্তম। নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল থাকলে এটেল দোআঁশ মাটিতেও এ কচুর চাষ করা চলে।
কচু রোপণের নিয়ম
একটি প্রাপ্ত বয়স্ক কচু গাছের গোড়া থেকে ছোট ছোট চারা বের হয়। এসব চারার মধ্যে থেকে সুস্থ্য সবল সতেজ চারা পানি কচু চাষের জন্য বীজ চারা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পানিকচুর চারা যত কম বয়সের হবে তত ভাল হবে। যে চারার ৪-৬ টি পাতা আছে, সতেজ সাকার বীজ চারা হিসাবে নির্বাচিত করতে হবে। চারার উপরের ১/২টি পাতা বাদ দিয়ে বাকি পাতা ও পুরাতন শিকড় ছেঁটে ফেলে দিয়ে চারা রোপণ করতে হবে। চারা তোলার পর রোপণ করতে দেরি হলে চারা ছায়াযুক্ত স্থানে ভেজামাটিতে রেখে দিতে হবে। নির্ধারিত দুরত্বে ৫-৬ সেমি. গভীরে চারা রোপণ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ সরিষা চাষের নতুন উপায়, ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সংকটে?
ফসল সংগ্রহ
চারা লাগানোর ৮০-৯০ দিন পর থেকে লতি তোলা যায়। ১০ দিনের মধ্যেই লতি সংগ্রহ করার মত বড় হয় বলে প্রতি মাসে অন্তত ৩ বার এবং এভাবে একটি গাছ থেকে ২০-২৫ বার লতি সংগ্রহ করা যায়।
ফলন
হেক্টর প্রতি ফলন ৪০-৫০ টন।