কৃষিজাগরন ডেস্কঃ দুধ ছাতু অথবা মাশরুম আকারে বেশ বড়ো হয়। প্রধানত বর্ষাকালে নারকেল গাছের গোড়ায় সাদা দুধের মতো এই ছাতু জন্মায়। ২৫-৩৫ ডিগ্রি সেঃ তাপমাত্রা ও ৮৫-৯৫ ভাগ আর্দ্রতা এই ছাতু চাষের পক্ষে আদর্শ।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
১। ধান বা গমের খড়।
২। ২০০ গ্রাম মাশরুমের স্পন (বীজ)।
৩। পলিথিনের ক্যারি ব্যাগ ও পলিথিনের চাদর।
৪। স্প্রেয়ার।
৫। কাঠ বা বাঁশের মাচা।
৬। জীবাণুনাশক।
৭। কম্পোষ্ট সার।
আরও পড়ুনঃ পোয়াল মাশরুম চাষ পদ্ধতি
চাষ পদ্ধতি
-
সোনালী রঙের পুরানো আমন ধানের খড় কায়েকদিন রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।
-
খড় ২-৩ সেমি কেটে চটের ব্যাগে ভরে ১২ ঘন্টা পরিষ্কার জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
-
ভিজে খড়গুলি ঝুরিতে রেখে অতিরিক্ত জল ঝরিয়ে দিতে হবে। আবার গরম জলে প্রায় ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে শোধন করে নেওয়া প্রয়োজন।
-
পলিথিনের ব্যাগে খড় দিতে হবে, এবং প্রতি কেজি ভিজে অবস্থায় ৩-৪ কেজি খড়ে ২০০ গ্রাম মাশরুমের বীজ দিতে হবে। পলিথিন ব্যাগের ভিতরে খড় ও বীজ দিয়ে ৪-৫টি স্তরে সাজাতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মাশরুমের রোগ জীবানু ও তার প্রতিকার
-
ব্যাগের মুখ এমনভাবে বেঁধে দিতে হবে যাতে ব্যাগের মধ্যে অল্প বাতাস চলাচল করতে পারে।
-
১২-১৮ দিন পর যখন বেডের খড় ছত্রাকের অনুসূত্রে ছেয়ে যাবে তখন কম্পোষ্ট সার এক ইঞ্চি পুরু করে পলিব্যাগের উপরের অংশে অর্থাৎ বেডের উপরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
-
স্পেয়ারের সাহায্যে খুব অল্প পরিমাণ জল দিয়ে হালকা পলিথিন দিয়ে চাপা দিতে হবে। ৩০-৪০ দিনের মধ্যে বেড থেকে কম্পোষ্ট ফুঁড়ে কুঁড়ি বের হবে।
-
প্রয়োজনে মাঝে মাঝে দিনে দু-একবার করে বেডে অল্প করে জল স্প্রে করতে হবে।
-
৮-১০ দিনের মধ্যে বেড থেকে মাশরুম তোলার উপযুক্ত হবে।
-
প্রতি বেড থেকে ২-৩ বার মাশরুম তোলা যায়। এক ১কেজি শুকনো খড় থেকে প্রায় ৫০০-৭০০ গ্রাম মাশরুম পাওয়া সম্ভব।