স্বাদে দারুন আর পুষ্টিগুণে ভরা এমন একটি ফল হল ফলসা। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ। এই গরমে এর সরবত পান করলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। যদি আমরা এই ফল চাষের দিকে নজর দিই তাহলে কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আয়ের দিক থেকে কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে ভালো লাভ পেতে পারেন। বাজারে এই ফলের দাম আকাশছোঁয়া।
উপযোগী জলবায়ু- অধিক গরম ও শুষ্ক সমভূমির জলবায়ু এবং অধিক বৃষ্টিতে আর্দ্র অঞ্চলে এই গাছপালা ভাল জন্মে। সর্বনিম্ন ৩ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফলসা ফল জন্মে। পাকানোর জন্য পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং উষ্ণ তাপমাত্রা প্রয়োজন।
মাটি নির্বাচন- যে কোনো ধরনের মাটিতে ফলসা চাষ করা যায় তবে ভালো বৃদ্ধি এবং ফলন পাওয়ার জন্য দো-আঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো।
আরও পড়ুনঃ লাল অতীত! কলকাতার বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে হলুদ তরমুজ
ফলসা রোপণ - বর্ষা মৌসুমে জুন থেকে জুলাই মাসে চারা রোপণ করা যায়। ক্ষেতে প্রস্তুত সারিগুলিতে চারা রোপণ করতে হবে, 3 X 2 মিটার বা 3 X 1.5 মিটার দূরত্বে। রোপণের এক বা দুই মাস আগে, গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ মে থেকে জুন মাসে 60 X 60 X 60 সেমি আকারের গর্ত খনন করতে হবে এবং মাটির সাথে ভালভাবে পচা গোবর সার মিশিয়ে গর্তগুলি পূরণ করতে হবে।
সেচ- গ্রীষ্মকালে শুধুমাত্র এক থেকে দুটি সেচের প্রয়োজন হয় যেখানে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির পর 15 দিনের ব্যবধানে সেচ দিতে হবে। ফুল ও ফল ধরার সময় একটি করে সেচ দিতে হবে যাতে ফলের মান ও বিকাশ ভালো হয়।
আরও পড়ুনঃ “আলু বিক্রির কালোবাজারি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেবে সরকার” শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
ফসল কাটা এবং ছাঁটাই- জানুয়ারির মাঝামাঝি মাসে মাটির পৃষ্ঠ থেকে 15 থেকে 20 সেন্টিমিটার উচ্চতা থেকে গাছগুলি ছাঁটাই করতে হবে। ছাঁটাই এর পর ফুল এবং ফল আসে। ৯০ থেকে ১০০ দিনের মাথায় ফল পাকতে শুরু হয়।