পাহাড়ে চাষের কথা উঠলেই সবার আগে যে নামটি আসে তা হলো আপেল চাষ , কারণ দেশে আপেল চাষের বেশির ভাগ বা বলতে গেলে পুরো আপেল চাষই হয় পাহাড়ে।
রাজ্যে ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা
হিমাচল প্রদেশের আপেল শুধু ভারতেই নয় সারা বিশ্বে বিখ্যাত। জানিয়ে রাখি, হিমাচল প্রদেশে আপেলের ব্যবসা ৬ হাজার কোটি টাকার। এমতাবস্থায়, এটা স্পষ্ট যে আপেল চাষের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এখানকার অনেক মানুষের লালন-পালন নির্ভর করছে এই আপেল চাষের ওপর। তবে এখানে এবার চিন্তিত আপেল চাষিরা।
আপেল চাষে প্রভাব পড়ছে কেন?
আসলে, এবার হিমাচল প্রদেশে মার্চ মাসেই গরম তার মনোভাবকে আরও গরম করে তুলেছে। একই সময়ে, চলমান মাসে অর্থাৎ এপ্রিলে তাপের পাশাপাশি রাজ্যের অনেক এলাকায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় এবার ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এখানকার আপেল চাষিরা।
আরও পড়ুনঃ Monsoon 2022: জলদি আসবে বর্ষা, কৃষকরা শীঘ্রই প্রচণ্ড তাপ থেকে স্বস্তি পাবেন, চাষে খুব ভাল লাভ হবে
এখন আপেল চাষ কিভাবে হবে?
জানিয়ে রাখি, পাহাড়ে কম উচ্চতায় আপেলের চাষ হলেও এবার তা এতটাই গরম পড়ছে যে কৃষকরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কৃষকরা জানান, আপেল গাছে ফুল এখন ফল হওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেও তাপ বৃদ্ধির কারণে এতে আর্দ্রতার মাত্রা কমে যাওয়ায় আপেল চাষে প্রাথমিক পর্যায়ে সমস্যা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আপেল চাষ বিষ্ঠার শিকার হতে পারে বলে আশংকা করছেন চাষিরা, তাই এখন শুধু বর্ষার অপেক্ষায় এখানকার চাষিরা।
আরও পড়ুনঃ গরমের কবলে গোটা রাজ্য় , বিপাকে সাধারণ মানুষ থেকে কৃষক