দেশে কৃষিক্ষেত্রে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। বিজ্ঞানীরা যখন ইনস্টিটিউটে গবেষণা চালাচ্ছেন, মাঠের সাধারণ কৃষকরা ফসল কাটা থেকে চাষের পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। এসব গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে কৃষির উন্নতি, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খরচ কমিয়ে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করা। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে বসবাসকারী এক কৃষক আলু ফসলের উপর একই রকম একটি পরীক্ষা করেছেন এবং তা সফল হয়েছে।
এখানকার এক চাষি ভিন্নভাবে আলু চাষ করছেন, যার জন্য তারা ভালো দাম পাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় কথা, এই আলু চাষে খরচ সাধারণ আলুর মতোই, তবে এর দাম অনেক বেশি। যে কারণে তার আয় বেড়েছে। রাজপুতদের দেখে অন্য কৃষকরাও আলু জাতের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে এবং তারা তাদের আয়ের উৎস হয়ে উঠছে।
এই আলুর প্রজাতির নাম নীলকন্ঠ, যা সাধারণ আলুর চেয়ে তিন থেকে চার গুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা সম্পন্ন। কৃষকরা দাবি করেন যে সাধারণ আলুতে প্রতি 100 গ্রাম প্রতি 15 মিলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যেখানে নীল জুঁইতে প্রতি 100 গ্রাম প্রতি 100 মিলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়া এসব আলুর উৎপাদন স্বাভাবিক আলু উৎপাদনের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি।
রাজপুতরা বলছেন যে তারা সিমলার আলু গবেষণা কেন্দ্রে এই কৌশলটি ব্যবহার করে অনেক একর জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। যেহেতু বীজ পাওয়া যায় না তাই শুরুতে একটু বেশি খরচ হলেও ফসল এলে বীজ সহজলভ্য হয়। বাজারে এসব আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। ফলে কৃষকরা বেশি লাভ পায় এবং এর দামও সাধারণ আলুর মতোই।
আরও পড়ুনঃ দুই বিঘায় দু কোটি লাভ! ধনী হবেন চাষীরা, জেনে নিন এর সম্পূর্ণ বিবরণ