কৃষিজাগরন ডেস্কঃ এ বছর খরিফ ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনেক কৃষক শরৎকালে আখ চাষ করছেন। বিহারে প্রায় ২.৪০ লক্ষ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়, তবে চাষের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে আখ চাষে কৃষকদের প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। আখ উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। অনেক কৃষক শীতকালীন আখও চাষ করেছেন। এখন এই ফসলের খরচ কমাতে আখ চাষিদের ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আখের উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকি বিহারের আখ শিল্প বিভাগ আখের উৎপাদন বাড়াতে জৈব সার এবং কম্পোস্ট সার ক্রয়ের উপর ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। জৈব সার এবং জৈব পদার্থযুক্ত ভার্মি-কম্পোস্ট সার ক্রয়ের জন্য আখ চাষকারী কৃষকদের প্রতি কুইন্টাল ১৫০ টাকা হারে অনুদানের পরিমাণ দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। এক হেক্টরের জন্য ২৫ কুইন্টাল পর্যন্ত খরচ হয়। এই প্রকল্পের সুবিধা সর্বাধিক ২.৫ একর অর্থাৎ ১ হেক্টর জমিতে পাওয়া যাবে। এই অনুসারে, আখ চাষ করা প্রতিটি কৃষক সর্বোচ্চ ৩,৭৫০ টাকা অনুদান নিতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ পুষ্টিতে ভরপুর ডুমুর! জেনে নিন এর ঔষধি গুণাগুণ
আখ ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বপন করা হয়, এরপর সার ব্যবস্থাপনার কাজ করা হয়। অনেক সময় আখের ফসলে পোকামাকড়ের সমস্যা দেখা দেয়, যার মোকাবিলায় আগাম ফসল মজবুত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।ইতিমধ্যে, বিহার সরকার জৈব আখ চাষকে প্রচার করছে, তাই ফলন বাড়াতে জৈব সার এবং ভার্মি-কম্পোস্ট কেনার জন্য অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
गन्ना के पैदावार को बढ़ाने के लिए सरकार गंभीर है और लगातार किसानों को मदद पहुंचाया जा रहा है, इसी के तहत जैव उर्वरक/ कार्बनिक खाद के क्रय पर अनुदान देने का प्रावधान है ।@BiharSugarcane#BiharSugarcaneIndustriesDept pic.twitter.com/sMDMsmTplg
— IPRD Bihar (@IPRD_Bihar) December 8, 2022
কৃষকরা আখ থেকে দুই থেকে চার গুণ বেশি লাভ করতে পারবেন। এ জন্য আলু, ছোলা, সরিষার সহ-ফসল চাষের পাশাপাশি আখ চাষ এবং মৌমাছি পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়। এভাবে ফসলে সার ও সেচের জন্য আলাদাভাবে খরচ করতে হয় না, বরং আখ চাষে নিয়োজিত সম্পদ থেকেই সরবরাহ করা হয়।এক হিসেব অনুযায়ী যে সব কৃষক পরিখা পদ্ধতিতে আখ চাষ করেছেন তারা ২৫০ থেকে ৩৫০ কুইন্টাল পর্যন্ত উৎপাদন করতে পারেন।