কৃষিজাগরন ডেস্কঃ পেয়ারা চাষীদের জন্য এ বছর ভালো মোটেই ভালো যায়নি। বৃষ্টির কারনে ইতিমধ্যেই ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে লক্ষাধিক টাকার ফসল। ছত্রাকজনিত ভাইরাসের কারণে মহারাষ্ট্রে পেঁপেও প্রচুর পরিমানে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই কৃষকরা এখন পেঁপে চাষও বন্ধ করে দিয়েছে। কয়েকদিন আগে কাঁচা লঙ্কার ওপর পোকার আক্রমণ দেখা যায়। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে কৃষকরা সস্তায় কাঁচা লঙ্কা বিক্রি করতে বাধ্য হয়।। মন্ডিগুলোতে মরিচের আগমন বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষকদের সামনে আবারো নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। এবার মহারাষ্ট্রে ফল নষ্ট হতে শুরু করেছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই শীত বেড়েছে। গাছ-গাছালিতে শীতের প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলায় পেয়ারার কারণে কৃষকরা এ বছর ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। মিডিয়া রির্পোট অনুযায়ী, ভারি বর্ষণের আগেও সয়াবিন, মুগ, অড়হর এবং অন্যান্য ডালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতের কারণে পেয়ারার উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বোরো চাষে মিলবে না সেচের জল! চিন্তায় কৃষকরা
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, রাজ্যের নান্দেড জেলার দেগুলার তালুকের কৃষকরা পোখরা প্রকল্পের অধীনে পেয়ারা রোপণ করেছেন। প্রতি একরে ৫০০ থেকে ৬০০ পেয়ারা গাছ লাগানো হয়েছে। সাধারণত এক বছরেই গাছে পেয়ারা আসা শুরু করে। পেয়ারা থেকে বাগানীরা মাসিক ১ থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করে। ভালো উৎপাদন হলে অনেক সময় আয় তিন থেকে চার লাখ টাকায় পৌঁছায়। এবার ঠান্ডার প্রভাব দেখা যাচ্ছে পেয়ারাতে। ঠাণ্ডাজনিত কারণে পেয়ারায় ছত্রাক ও ফ্রুট ফ্লাই কিট বসানো হয়েছে। এ কারণে উৎপাদন কমেছে ৩০ শতাংশ।
সাধারণত, যখন কোনও ফসলের ক্ষতি হয়, কৃষকরা আর্থিক সাহায্যের জন্য আশাবাদী চোখে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকে। এই সময়টিও ঠিক সেইরকম। কৃষকরা বলছেন, আগে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে পেয়ারার ফুল ঝরে গিয়েছিল। পরে ঠান্ডায় পেয়ারার বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা কৃষকরা সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়েছেন। কৃষকরা বলছেন,এ বছর প্রতিটি ফসলেই লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা। কৃষকদের সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের।
আরও পড়ুনঃ আপনি যদি জৈব চাষ করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে এই ৫ টি স্কিম আপনার জন্য