দিন দিন ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছে প্রযুক্তি। আজকের দিনে মনে হয় আর কোনও কিছুই অসম্ভব নয় বিজ্ঞানীদের কাছে। ভূগর্ভস্থ থেকে মহাকাশ সর্বত্রই চলছে নানান বৈপ্লবিক কাণ্ড কারখানা। যা দেখে রীতিমত তাক লাগছে বিশেষজ্ঞ মহলে। তবে সম্প্রতি যে ঘটনার সাক্ষী রইল গোটা বিশ্ব। এমনটাও হওয়া সম্ভব কেও আশা করেনি। এমনকি এই কাজের জন্য যারা দিন রাত এক করে মেধা, পরিশ্রম, প্রযুক্তি সব উজাড় করে দিয়েছিলেন তাঁরাও ভাবেননি সাফল্যর মুখ দেখবে তাঁরা। আর এই নয়া আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে লঙ্কা। একদম ঠিকই দেখছেন লঙ্কার ঝাঁঝ বর্তমানে পৌঁছে গেছে মহাকাশে। মহাকাশ স্টেশনে চাষ হল লঙ্কা।
আরও পড়ুনঃ 15টি লাভজনক জৈব ব্যবসার ধারণা; এই টিপস অনুসরণ করুন এবং আপনার উপার্জন দ্বিগুণ করুন
যেখানে মহাকর্ষ বল শূন্য সেখানে দিব্যি চাষ হল লঙ্কা। বিশেষজ্ঞদের মতে মহাকাশে এই লঙ্কার উৎপাদন এক নব বিপ্লবের সূচনা। বহুদিনের গবেষণার পর অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখলেন বিজ্ঞানীরা। তবে সকলের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে এত সবজি থাকতে লঙ্কাকেই কেন এত প্রাধান্য দেওয়া হল। আসলে লঙ্কায় রয়েছে ভিটামিন সি। আর মহাশূন্যে দীর্ঘদিন ভেসে থাকার জন্য শরীরের দরকার ভিটামিন সি। পাশাপাশি লঙ্কার পরাগমিলনের জন্য কোনও বাহ্যিক অনুঘটকের দরকার পড়ে না। তাই লঙ্কার ওপরই এত জোর দেওয়া হয়েছে। তবে শূন্য আকর্ষণ বল ছাড়া এই উৎপাদন করা কৃষিবিজ্ঞানীদের কাছে যথেষ্ট কঠিন কাজ ছিল।
সেই অসম্ভব জিনিসকে সম্ভব করে দেখালেন বিজ্ঞানী মার্ক টি ভ্যানডে। মহাকাশে লঙ্কার চাষ নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণার কাজ চলে। বহু বছর ধরে লঙ্কার বিভিন্ন প্রজাতি নিয়ে নানান পরীক্ষা নিরিক্ষা চালান হয়। অবশেষে উ মেক্সিকোর হ্যাচ (Hatch) নামের লঙ্কার প্রজাতিটি বেছে নেওয়া হয়। তারপর বহু যুদ্ধের পর অবশেষে লঙ্কার গাছের দর্শন মেলে মহাকাশ স্টেশনে। তারপর সেই গাছ থেকে উঁকি মেরে দেখা দেয় সবুজ লঙ্কা।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের জন্য তৈরি হতে চলেছে কৃষক স্কুল, বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের