Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 25 June, 2021 12:10 PM IST
Khesari Crop farming (image credit- Google)

আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ডাল জাতীয় ফসলের চাষ হয়। এর মধ্যে খেসারি ডাল অন্যতম। সঠিক পদ্ধতিতে খেসারি ডালের চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় | লশস্যের মধ্যে খেসারি হল সবচেয়ে কষ্টসহিষ্ণু ফসল। ঠান্ডা সহ্য করার ক্ষমতা যেমন আছে, তেমনই খরা ও অতিরিক্ত জল জমাও সহ্য করতে পারে। খরাতেও টিকে যায় বলে এর নাম দুর্ভিক্ষের ফসল। অথচ, সস্তার এই ডাল খাদ্যগুণে ভরপুর। শুকনো ডালে ৩১.৯ শতাংশ প্রোটিন, ৫৩.৯ শতাংশ শর্করা ও ০.৯ শতাংশ তৈল থাকে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ও ভিটামিন থাকে। সস্তার এই ডাল শস্যের চাহিদা বেশি থাকায়, এই ডাল চাষে (Khesari Dal) কৃষকবন্ধুরা উপকৃত হয়ে থাকেন |

জাত:

খেসারির চাষে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে নতুন জাত বিআইওএল ২১২— বোয়ার মাত্রা ০.১ শতাংশের কম এবং ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ১.৫ টন।

মাটি (Soil):

এঁটেল মাটিতে খেসারি চাষ ভালো হয়ে থাকে। তবে সব রকমের মাটিতেই হয়। লোনা সহ্য করার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য।

বীজ বপন:

মাঠের পাকা ধান কাটার ১০-১২ দিন আগে জমিতে ছড়িয়ে দিলে বীজ লাগে বিঘা প্রতি ১৫-১৬ কেজি। একে পয়রা চাষ বলে। খেসারির মতো মুসুর, সর্ষে ইত্যাদিও বোনা যায় এই ভাবে। দান বা অন্য ফসল কেটে নেওয়ার পর পড়ে থাকা জমিতে চাষ দিয়ে ২৫-৩০ সেমি দূরত্বে বীজ বুনলে বীজ লাগে বিঘা প্রতি ১০-১১ কেজি |

আরও পড়ুন - Wheat Farming: জেনে নিন গমের আধুনিক চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা

লাঙল দেওয়া জমিতে বীজ বোনার আগে বিঘা প্রতি ৬-৭ কেজি ডিএপি দিতে পারলে খুব ভাল। পয়রা ফসলে বীজ বোনার ৩০-৪৫ দিনের মাথায় ২ শতাংশ ডিএপি দ্রবণ (এক লিটার জলে ২০ গ্রাম) স্প্রে করতে পারলে ভাল হয়। সার এক রাত ভিজিয়ে রাখলে আরও ভাল। ফুল আসার সময় ২ শতাংশ ইউরিয়া দ্রবণ (এক লিটার জলে ২০ গ্রাম ইউরিয়া) গাছে স্প্রে করলে ফলন অনেকটাই বেশি হয়।

সার প্রয়োগ (Fertilizer):

খেসারির ফসলের ক্ষেত্রে সারের প্রয়োজন হয় না। একক ফসলের জন্য অনুর্বর জমিতে হেক্টরপ্রতি সার ব্যবহার করতে হবে, ৪০-৪৫ কেজি ইউরিয়া, ৮০-৮৫ কেজি টিএসপি এবং ৩০-৪০ কেজি এমওপি |

সেচ:

জমির মাটিতে থেকে যাওয়া জলে খেসারি চাষ হয়ে যায়। তবে ৬০-৭০ দিনের মাথায় একবার সেচের ব্যবস্থা করতে পারলে ফলন বাড়ে।

পরিচর্যা:

বীজ বপনের ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে নিড়ানী দ্বারা আগাছা দমন করা যেতে পারে। অতিবৃষ্টি হলে জমিতে যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য জল বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

রোগবালাই ও দমন (Disease management system):

খেসারীর ডাউনি মিলডিউ রোগ

রোগাক্রান্ত খেসারী গাছের পাতা কিছুটা হলদে হয়ে যায়। পাতার নীচে লক্ষ করলে ছত্রাকের অবস্থান খালি চোখেই দেখা যায়। রোগের মাত্রা বেশি হলে পাতা কুঁচকে ও ঝলসে যায়। এ ছত্রাকের জীবাণু মাটিতে ১-২ বছর বেঁচে থাকতে পারে।

প্রতিকার:

রোগ প্রতিরোধী জাত চাষ করতে হবে। রিডোমিল এম জেড (০.২%) ১২ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে  করে এ রোগ দমন করা যায়।

পাতা ধসা ও গোড়া পচা রোগ:

এই রোগের থেকে  রেহাই পেতে বীজশোধন জরুরি—কেজি প্রতি বীজের জন্য ০.৫ গ্রাম বেনোমিল বা ২ গ্রাম কপার হাইড্রক্সাইড। পাতায় গুঁড়ো রোগ দেখলে ব্যবহার করতে পারেন দিনোক্যাপ (প্রতি লিটার জলে ০.৫ মিলিলিটার) বা প্রোপিকোনাজোল (লিটার প্রতি জলে ০.৭৫ মিলিলিটার)। জাব পোকার আক্রমণে কার্বোসালফান (১ লিটার জলে ২ মিলিলিটার) ও শুঁটি ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণে অ্যাসিফেট বা কারটাপ (১ লিটার জলে যথাক্রমে ০.৭৫ বা ১ গ্রাম মাত্রায়)।

ফসল সংগ্রহ:

ফাল্গুন (মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে মধ্য মার্চ) মাসে ফসল সংগ্রহ করা যায়।

নিবন্ধ: রায়না ঘোষ

আরও পড়ুন -Student Credit Card: বুধবার থেকে পড়ুয়াদের ক্রেডিট কার্ড দেবে রাজ্য

English Summary: Khesari Crop Farming: You will also benefit from cultivating this variety of khesari crop
Published on: 25 June 2021, 12:10 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)