কৃষিজাগরন ডেস্কঃ বিশ্বে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি খেজুর গাছের প্রজাতি বিলুপ্তের পথে। নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চানচল্যকর তথ্য ।এই গাছ গুলির বিলুপ্তির কারন খুজতে বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করেছেন।
আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দ্বারা এক গবেষনায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এই গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন) রেড লিস্টের ডেটা সহ নতুন মেশিন লার্নিং কৌশলের সাহায্য নিয়েছেন। এই গবেষণার ফলাফল নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে ।গবেষকরা এই গবেষণায় জানার চেষ্টা করেছেন কত প্রজাতির খেজুর গাছ বিলুপ্তির পথে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অর্ডার অর্ডার অর্ডার
বিশ্বব্যাপী প্রায় ১,৮৮৯ টি খেজুর প্রজাতি গাছের উপর গবেষনা করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন প্রায় ৫৬ শতাংশ গাছ বিলুপ্তির পথে রয়েছে। এই গাছের মধ্যে এমন ১,৩৮১ টি প্রজাতির গাছ রয়েছে যাদের সম্পর্কে কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে, নদীয়া জেলার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান ডাঃ সামসুল হক আনসারী কৃষিজাগরনকে বলেন, “ এই রির্পোট সম্পর্কে আমি বিস্তারিত কিছু জানি না তবে,বাংলাতে খেজুর গাছ নিয়ে একটা বড় দিক রয়েছে চাষিদের।খেজুর থেকে গুড় তৈরি হয়।বিশেষ করে দেশি খেজুর যেগুলো বাংলাতে বেশি হয়।সেখান থেকে কমার্শিয়ালি গুড় তৈরি করে কৃষকরা। সেক্ষেত্রে যদি খেজুর গাছের পপুলেশান কমে যায়া বা বিলুপ্তি ঘটে তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই এটা কৃষকদের রুজিরোগারের সাথে সরাসরি জরিত,সেক্ষেত্রে একটা এফেক্ট তো পরবেই” ।
ভারতে প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাসকারী সাধারন মানুষ তাদের বাড়ি তৈরি করতে, খাবার, ওষুধ, প্রসাধনী এবং এমনকি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্যও খেজুর গাছের ব্যবহার করে।
যদি খেজুর গাছের এই প্রজাতিগুলি বিলুপ্ত হয়ে যায় তবে শুধু পরিবেশের উপর নয়, খেজুরগাছের উপর নির্ভরশীল মানুষের উপরেও এর প্রভাব পরবে। গবেষকদের মতে, খেজুর গাছের সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন।