এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 14 September, 2021 2:36 PM IST
Napiyar Grass (Image Credit - Google)

বর্ষা মৌসুমে (Monsoon Crop) বাড়ির পাশের জমিতে ধান উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পতিত জমিতে জল ও আগাছা (Weed Management) বেশি হয়ে থাকে। ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাই এরকম লাখ লাখ একর পতিত জমি সারা বছরই খালি পড়ে থাকে। বর্ষা মৌসুমসহ সারা বছরই এ জমিগুলোতে নেপিয়ার জাতীয় ঘাস চাষ করে গো-সম্পদের প্রসার ঘটানো যায়। সাথে অর্থ আয়ের সুযোগও বাড়ে।

গবাদিপশুর প্রধান খাদ্য ঘাস। উন্নত জাতের অধিক ফলনশীল ঘাসের মধ্যে নেপিয়ার উল্লেখযোগ্য। খাদ্যমান বেশি থাকায় গবাদিপশুর জন্য এ ঘাস বেশ উপাদেয় ও পুষ্টিকর।

চাষ পদ্ধতি ও গুণাগুণ সম্পর্কে কৃষক অবগত হলে এ ঘাসের চাষে তারা উৎসাহিত হবেন।

ঘাসের পুষ্টিগুণ :

শুস্ক পদার্থ-250g/kg

প্রোটিন-8-12%

ফাইবার-26-28%

টোটাল ডাইজেস্টবেল55-58%

বিপাকীয় শক্তি-2MJ/kg

নেপিয়ার ঘাস চাষ (Cultivation Method) -

নেপিয়ার ঘাস এর উপযোগী জলবায়ু -

এ ঘাস সব ধরনের মাটিতেই জন্মে। তবে বেলে দো-আশ মাটিতে এর ফলন সবচেয়ে বেশি। এ ঘাসের জন্য উঁচু জমি ভালো। বন্যা প্রস্তাবিত জমি এ ঘাস চাষের জন্য অনুপযুক্ত। বাংলাদেশের আবহাওয়া নেপিয়ার ঘাস চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত।

জমি নির্বাচন:

জল নিষ্কাশনের জন্য ভাল ব্যবস্থা আছে অর্থাৎ যেখানে বৃষ্টি বা বর্ষার জল জমে থাকে না এরূপ জমি নেপিয়ার চাষের জন্য উত্তম। প্রায় সব ধরনের মাটিতেই এ ঘাস রোপন করা যায়, তবে বেলে-দোআঁশ মাটি সবচেয়ে বেশি উপযোগী।

চাষের সময় -

নেপিয়ার ঘাসের বীজ সারা বৎসরই রোপন করা যায়। প্রচন্ড শীত এবং বর্ষার পানির সময় বাদে সব সময় বীজ বপন করা যায় তবে কাটিং এর ক্ষেত্রে সাধারণতঃ বর্ষার প্রারম্ভে এই ঘাসের কাটিং বা চারা রোপন করা হয়।

বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ্য মাসে প্রথম বৃষ্টির পর জমিতে চারা বা কাটিং লাগালে প্রথম বছরেই ৩/৪ বার পর্যন্ত ঘাস কাটা যেতে পারে। চারা বা কাটিং লাগানোর পর যদি রৌদ্র হয় বা মাটিতে রস কম থাকে তাহলে চারার গোড়ায় পানি সেচ দিতে হবে।

সার প্রয়োগ :

নেপিয়ার ঘাসের ফলন বেশি পেতে হলে জমিতে প্রয়োজন অনুসারে সার দিতে হয়। চারা বা কাটিং লাগানোর পর যদি রৌদ্র হয় বা মাটিতে রস কম থাকে তাহলে চারার গোঁড়ায় পানি সেচ দিতে হবে। চাষের সময় হেক্টর প্রতি প্রায় ৩-৪ হাজার কেজি পচা গোবর, ফার্মজাত আবর্জনা ও পচানো ঘাস জমিতে ভালোভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে।

আরও পড়ুন - Profitable Grape Farming – আঙ্গুর চাষ করে কীভাবে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করবেন, জেনে নিন চাষের সহজ পদ্ধতি

বেশি ফলন পেতে হলে এর সঙ্গে হেক্টর প্রতি ২২৫ কেজি ইউরিয়া, ১৫০ কেজি টিএসপি এবং ৭৫ কেজি মিউরেট অব পটাশ প্রয়োগ করতে হবে।

সংগ্রহ : 

কাটিং বা চারা রোপণের ৬০-৭০ দিন পর প্রথমবার ঘাস সংগ্রহ করা যায় এবং এরপর প্রতি ৬-৮ সপ্তাহ পরপর জমি হতে ঘাস সংগ্রহ করা যায়।ই মাটির ৫-৬ ইঞ্চি উপর থেকে ঘাস কাটতে হয়। প্রথম কাটিং-এ ফলন একটু কম হলেও দ্বিতীয় কাটিং থেকে পরবর্তী ২/৩ বছর পর্যন্ত ফলন বাড়তে থাকে। এরপর আস্তে আস্তে কমতে থাকে।

আরও পড়ুন - Buffalo Dairy Farming – মহিষের উন্নত জাত ও তার লাভজনক পালন পদ্ধতি

English Summary: Napiyar grass cultivation for additional income in the rainy season, learn the method of cultivation
Published on: 14 September 2021, 02:36 IST