আজকাল দেশের কৃষকরা ফসল ফলাতে কৃষিতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। এতে এগিয়ে মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা। সাম্প্রতিক ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলা থেকে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে কৃষকরা বড় পরিসরে নীলকন্ঠ আলু চাষ করে লাভ অর্জন করছেন ।
মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলা আলু চাষের জন্য পরিচিত, তবে এই প্রথম এখানে নীল রঙের আলু চাষ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আলু চাষে নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফুকরি জাতের নীলকন্ঠ আলু চাষ করেছেন মোরেনা জেলার তহসিলের সান্তা গ্রামের কৃষক গিররাজ মুদগাল । এই আলু বিশেষ কারণ এটি সাধারণ আলুর চেয়ে বেশি লাভ দেয়। সেই সঙ্গে আজকাল এর চাহিদাও বাড়তে শুরু করেছে, কারণ এই নীল রঙের আলুর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
মোরেনা জোনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানীদের পরামর্শে কৃষক গিররাজ মুদগাল তার গ্রামে এই আলু চাষ করেন । এর জন্য গিরাজ মুদগাল গোয়ালিয়রে অবস্থিত আলু গবেষণা কেন্দ্র থেকে 5 কুইন্টাল নীলকন্ঠ আলু বীজ নিয়ে আসেন। এরপর তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে এই বীজ বপন করেন।
ইতিমধ্যেই ১২৯ কুইন্টাল আলু উৎপাদিত হয়েছে। অর্থাৎ মাত্র 10 বস্তা বীজে 258 বস্তা নীলকন্ঠ আলু উৎপাদিত হয়েছে। যা দেখে গ্রামের কৃষকরা বিস্মিত হয়ে তারাও এই জাতের আলু চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এর পেছনে একটি বড় কারণ হল এর দাম।
বাজারে সাধারণ আলুর দাম প্রতি কেজি 10 থেকে 12 টাকা, যেখানে নীলকণ্ঠ আলুর দাম প্রতি কেজি 20 টাকার বেশি, তাই নীলকন্ঠ আলু চাষ কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক চুক্তি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে এবং সঠিক সময়ে সার, জল ও উন্নততর কীটনাশক দিয়ে আলু বীজ বপন করা হয়েছে। তাই এর ফলনও ভালো হয়েছে এবং আলুও ভালো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জানতেন এই গাছ ঔষধি গুণে ভরপুর?