১ থেকে ৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে 'মিলিয়নেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া' অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন জেনে নিন গরু ও মহিষের জন্য সস্তায় খাবার প্রস্তুত করুন, বিস্তারিত জেনে নিন স্বল্প পরিসরে মাছ চাষ করুন, রইল সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা
Updated on: 3 February, 2024 5:24 PM IST
Organic Farming (image credit- Google)

কোনো ধরনের কৃত্রিম সার, রাসায়নিক ইত্যাদি ব্যবহার ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলকেই অরগ্যানিক বলা হয়৷  জৈব সার ব্যবহারে মাটির উর্বরতা দীর্ঘস্থায়ী হয়৷ উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ৷ এই জৈব চাষে যেমন বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন হয় তেমনি মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় |

কেন জৈব চাষ প্রয়োজনীয় (Importance of organic farming):

ফরমালিনযুক্ত খাবারের আধিক্য থাকায় গত কয়েক বছর ধরে অরগ্যানিক খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে৷ ২০১৪ সালে নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রমাণ করেন অরগ্যানিক খাবারের উপকারিতা৷ ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত তাঁদের গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সাধারণ সারমিশ্রিত ফসলের চেয়ে অরগ্যানিক ফসলে কীটনাশকের পরিমাণ এক চতুর্থাংশের চেয়েও কম থাকে৷ বিষাক্ত ধাতব উপাদানও কম থাকে৷ তাই এতে ক্যানসার প্রতিরোধী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অনেক বেশি মাত্রায় পাওয়া যায়৷

জৈব চাষে ফলন কেমন?

জৈব সার দিয়ে চাষ করলে প্রথম এক থেকে ২ বছর ফলন কিছুটা কম হবে এতে সন্দেহ নেই৷ তবে চার থেকে পাঁচ বছর পর রাসায়নিক সার দিয়ে চাষ করা জমির তুলনায় ফলন বেশি হবে৷ যে জমিতে সর্বশেষ রাসায়নিক সার ব্যবহার করে চাষাবাদ করা হয়েছে সেই জমি ন্যূনতম তিনবছর পতিত অবস্থায় ফেলে রাখলে বা পুনরায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ ছাড়া চাষ করলেই অরগ্যানিক খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব৷ চাষাবাদে ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত রাসায়নিক সারের অবশিষ্টাংশ তিন বছরে ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে৷

আরও পড়ুন Saffron Farming: জেনে নিন "লাল সোনা বা জাফরান" চাষের দুর্দান্ত পদ্ধতি

বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি হচ্ছে কৃষি৷ এ দেশের ৯০ শতাংশ কৃষকের কাছে মধ্য আশির দশকের আগ পর্যন্ত অরগ্যানিক কৃষি ছিল বেশ জনপ্রিয় তারপর নানা প্রলোভনে কৃষকরা বাধ্য হয়ে রাসায়নিক কৃষিতে ঝুঁকে পড়েছে নব্বইয়ের দশকে৷ বর্তমান বিশ্বে অরগ্যানিক কৃষিতে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে বটে, তবে বাংলাদেশে এর মাত্রা খুবই কম৷ ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ অরগ্যানিক এগ্রিকালচার মুভমেন্ট কৃষকদের জৈব উপায়ে ফসল উৎপাদনে সহায়তা করে৷

খরচ কম, জর্মির উর্বরতা বৃদ্ধি:

জৈবসার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধানসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল এবং সবজির উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব৷ জৈবসার ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন খরচ রাসায়নিক সারের চেয়ে শতকরা ৫০-৬০ শতাংশ কম হয়৷ অরগ্যানিক খাবার ও শাক-সবজি হয়ত সামান্য ব্যয়বহুল৷ কারণ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এতে হরমোন, কৃত্রিম সার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় না৷

সেই সাথে পোকামাকড় দমনের জন্য রাসায়নিক বিষ না দেয়ায় এবং পচন রোধের জন্য ফরমালিন না দেয়ার ফলে সংরক্ষণ ব্যয় বেশি৷

রাসায়নিক সারের পরিবর্তে উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত জৈব সার সবজি ও ধান গাছে প্রয়োজনীয় ইউরিয়া, পটাশ ও ফসফেট সারের জোগান দেয়৷ আধা-কম্পোস্ট গোবর, মুরগির বিষ্ঠা, ধানের কুঁড়া, মাছ-মুরগির পাখনা ও পরিপাকতন্ত্র তথা পরিত্যক্ত অংশ একসাথে করে জৈব কম্পোস্ট সার তৈরি করা হয়৷

জৈবসার প্রয়োগ করলে আর অতিরিক্ত ইউরিয়া, পটাশ ও টিএসপি সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয়না৷ এছাড়া মাটির উর্বরতা ও স্বাস্থ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়৷ উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ৷ জৈব পদ্ধতিতে জমিতে দীর্ঘ মূল ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের মূল বিশিষ্ট সবজির সমন্বয় ঘটিয়ে মাটির উর্বরতা সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে৷ কম খরচে শস্যে এ ধরনের জৈব কীটনাশক ব্যবহার করে একদিকে যেমন কৃষকদের অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব, তেমনি জনস্বাস্থ্যও রক্ষা করা সম্ভব৷ অথচ রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করলে প্রতিবছরই মাটির উর্বরতা হ্রাস পেতে থাকে৷

নিবন্ধ: রায়না ঘোষ

আরও পড়ুন -Paddy Seed Bed: ধানের বীজতলা ব্যাবস্থাপনা ও বীজ উৎপাদন পদ্ধতি

English Summary: Organic Farming in Bangladesh: The importance of organic farming is increasing in Bangladesh
Published on: 26 June 2021, 11:57 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)