বর্তমান সময়ে জৈব কৃষি থেকে উৎপন্ন ফসলের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। জৈব কৃষিজাত ফসলে মানুষের শারীরিক সমস্যা কম হয়। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে জৈব প্রক্রিয়ায় চাষের মাধ্যমে কৃষকরা অনেক বেশি পরিমানে আয় করতে পারে। এবার জৈব চাষ প্রক্রিয়া নিজ হাতে করে দেখিয়েছেন এক অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক। ওই অধ্যাপকের নাম অশোক গোস্বামী। তিনি অবসর গ্রহণের পর 20 বিঘা অনুর্বর জমিতে 20 রকমের ফল গাছ লাগান এবং নিজ হাতে পরিচর্যা করেন। তবে শুধু ফল না একই জমিতে দান শস্য ও বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ করেছেন তিনি।
আবসর নেওয়ার পর থেকেই অশোক গোস্বামী চাষবাস শুরু করেছিলেন। এমনকি তিনি প্রাকৃতিক ভাবে চাষ করার জন্য গরুও কিনে ফেলেন। তিনি তাঁর নিজ হাতে তৈরি করা ফার্মের নাম দিয়েছেন ন্যাচারাল এগ্রোট্যুরিজম। মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে এই বিষয়ে হিমাচলপ্রদেশের কৃষি দফতর জানিয়েছে, তার ওই 20 বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ লাগানো হয়েছে এবং সব গাছ গুলোতেই ফলও ধরতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ ইউটিউব দেখে কমলা চাষ! আয় দেখে ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছাড়লেন তরুণ
জৈব চাষের খরচের বিষয়ে অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক জানান, তাঁর তৈরি 20 বিঘা জমিতে ফল গাছের পাশাপাশি মটর, ধনে, আদা, রসুন, পেঁয়াজ ছাড়াও একাধিক শস্যের চাষ করেছেন। এতে তিনি ৭৫০০ টাকা খরচ করেছেন। যা থেকে তাঁর লাভ হয়েছে ২৫০০০০ টাকা। জৈব কৃষি ব্যবস্থা এমন এক কৃষি প্রণালী যেখানে সব ধরণের কৃষিজ ফসল উৎপন্ন হয়। যেমন – শস্য দানা, ডাল, তৈলবীজ, দুধ, পোলট্রি, মাংস, তুলো, পাট, শাকসবজি, ফুল ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ বাজরা চাষ: কিভাবে এই টেকসই ফসল বৃদ্ধি করা যায়
জৈব কৃষি ব্যবস্থার গুরুত্বঃ
জৈব চাষে ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে কৃষকরা ২৫% উৎপাদন খরচ কমাতে পারে।
জৈব চাষের ফলে মাটিতে পুষ্টিমৌলের পরিমান বৃদ্ধির পায়, তাই একই মাটিতে কয়েক দশক ধরে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়।
এই ধরনের কৃষিকাজে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর কোনো খারাপ প্রভাব পড়ে না।
সমগ্র বাস্তুতন্ত্র ও ভূগর্ভস্থ জলের গুনমান বৃদ্ধি পায়।