আজকাল বেশিরভাগ মানুষই তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে চায়। আপনি যদি কম বিনিয়োগে আপনার ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন, তাহলে এখন আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি একটি আশ্চর্যজনক বিজনেস আইডিয়া। যেটি আপনি পার্ট টাইম করেও লক্ষাধিক টাকা লাভ করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে, মানুষ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার খুব যত্ন নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে এর চাহিদাও অনেক বেড়ে গেছে এবং এর চাষে খুব বেশি সময় লাগে না।
আসলে আমরা তুলসী গাছের কথা বলছি। হ্যাঁ, এর চাষে আপনার খুব বেশি বিনিয়োগেরও প্রয়োজন নেই। প্রাচীনকাল থেকেই আধ্যাত্মিক এবং আয়ুর্বেদিকভাবে তুলসী গাছের গুরুত্ব অপরিসিম।
আরও পড়ুনঃ লেমন গ্রাস দিয়ে কীভাবে বাড়িতে প্রাকৃতিক কীটনাশক স্প্রে তৈরি করবেন
বাজারে তুলসীর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। প্রকৃতপক্ষে, এই গাছের শিকড়, কান্ড এবং পাতা সহ সমস্ত অংশ খুব উপকারি।অতএব, আপনি এর চাষ থেকে অনেক লাভবান হতে পারেন। বীজ বপনের পর ফসল তুলতে আপনার সময় লাগে মাত্র ৩ মাস। বিশেষ বিষয় হল তুলসীর ফসল ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। একই সাথে, আপনি মাত্র ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কিভাবে তুলসী চাষ করবেন
তুলসী চাষের সঠিক সময় সম্পর্কে কথা বললে, জুলাই মাসকে সেরা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এতে, ৪৫ x ৪৫ সেমি ব্যবধানে স্বাভাবিক গাছ লাগানো হয়। অন্যদিকে, RRLOC 12 এবং RRLOC 14 প্রজাতির গাছগুলি ৫০ x ৫০ সেমি দূরত্বে রোপণ করা হয়। গাছ লাগানোর সাথে সাথে কিছু সেচ দেওয়া খুবই জরুরী। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, ফসল তোলার ১০ দিন আগে সেচ দেওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
তুলসী গাছের পাতা বড় হয়ে গেলে এই গাছ কাটা হয়। একই সময়ে, যখন তুলসী গাছে ফুল ফোটা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই এটি সংগ্রহ করা হয়। এই গাছগুলি ১৫ থেকে ২০ মিটার উচ্চতায় কাটা হয়। যার কারণে গাছে শীঘ্রই নতুন শাখা আসতে শুরু করে।
কোথায় বিক্রি করবেন এই ফসল?
এর জন্য আপনি বাজারের এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করে বা সরাসরি বাজারে গিয়ে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করে এই গাছগুলি বিক্রি করতে পারেন। এর সাথে, আপনার কাছে চাষের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বা এজেন্সির চুক্তিতে গাছ বিক্রি করার বিকল্পও রয়েছে।