চিচিঙ্গা আমাদের সবার কাছে প্রিয়। দেশের অন্যতম প্রধান গ্রীষ্মকালীন সবজি এটি। এর অনেক ঔষধী গুণ আছে। চিচিঙ্গার ১০০ ভাগ খাবারযোগ্য অংশে ৯৫ ভাগ জল, ৩.২-৩.৭ গ্রাম শর্করা, ০.৪-০.৭ গ্রাম আমিষ, ৩৫-৪০ মিঃগ্রাঃ ক্যালসিয়াম, ০.৫-০.৭ মিঃগ্রাঃ লৌহ এবং ৫-৮ মিঃগ্রাঃ খাদ্যপ্রাণ সি আছে।
চিচিঙ্গা চাষের জন্য় উপোযুক্ত জলবায়ু ও মাটি
উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় চিচিঙ্গা ভাল জন্মায় । শীতের দু’ তিন মাস বাদ দিলে দেশে বছরের যেকোন সময় চিচিঙ্গা চাষ করা যায়। সব রকম মাটিতে চিচিঙ্গার চাষ করা যায় তবে জৈব সার সমৃদ্ধ দো-আশঁ ও বেলে দো-আশঁ মাটিতে ভালো জন্মায় ।
আরও পড়ুনঃ বিপন্নপ্রায় বেঙ্গল গ্রে ক্যাটল,তাবে কি সংরক্ষনের প্রয়োজন ?
চিচিঙ্গার কিছু জাত
‘ঝুম লং’ এর ফল নীলাভ কালচে সবুজ ও দীর্ঘ। ফলধারী আরো একটি জাত ‘সাদা সাভারী’ নামে পরিচিত। তাছাড়া তিস্তা, তুরাগ, সুরমা, রূপসা, বিভিন্ন জাত এদেশে চাষ হয়।
আগাছা নিয়ন্ত্রণ
শস্যের আগাছা নিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগাছা সময়মতো পরিষ্কার না করা হলে তা ফলনে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে আগাছানাশক প্রয়োগের পরিবর্তে মাসে দু’বার হস্তচালিত যন্ত্রের মাধ্যমে নিড়ালে তা ভালো হয়।সাধারণভাবে, চিচিঙ্গা ফসল প্রস্তুত হতে সময় লাগে ১৩০-১৫০ দিন। উন্নত বীজ এবং সারের উপর নির্ভর করে এর প্রত্যাশিত গড় ফলন হেক্টর প্রতি ১৫-১৮ টন। বাজার দর অনুযায়ী কৃষক ১১০০ টাকা/ক্যুইন্টাল তা বিক্রী করলে লাভবান হবেন। পশ্চিমবঙ্গের মত বৈচিত্র্যপূর্ণ জলবায়ুর অঞ্চলে চিচিঙ্গা চাষ যথেষ্ট লাভজনক।
আরও পড়ুনঃ ভিয়েতনাম থেকে আসছে লাল কাঁঠাল,চাহিদা বাড়ছে ধীরে ধীরে, আজই শিখে নিন চাষ পদ্ধতি
ফসল সংগ্রহ ও ফলন
চারা গজানোর ৬০-৭০ দিন পর চিচিঙ্গার গাছ ফল দিতে থাকে। স্ত্রীফুলের পরাগায়নের ১০-১৩ দিনের মধ্যে ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়। ফল আহরণ একবার শুরু হলে তা দুই আড়াই মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে চিচিঙ্গার হেক্টর প্রতি ফলন ২০-২৫ টন (৮০-১০০ কেজি/শতাংশ)