আপনিও রসালো আম খুব পছন্দ করেন? তবে এই বিশেষ প্রজাতির একটি আমের দাম জেনে আপনি অবাক হতে পারেন।হ্যাঁ,এই বিশেষ জাতের আম প্রতি পিস ৫০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এই জাতের আমের নাম নূর জাহান। এই আমের জন্ম মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলায়। এই আমের দাম দশ থেকে পনের হাজার টাকা কেজি। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিশেষ ও বিরল জাতের আম সম্পর্কে...
এর উৎপত্তি কোথা থেকে
এ বছর আলীরাজপুর জেলার চাষিরা খুবই খুশি আর 'নূর জাহান' কেন নয় যেখানে এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। একই দামও পাচ্ছেন প্রতি পিস ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। ভালো দাম ও বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষিরা প্রচুর আয় করছেন। এবার ভালো বৃষ্টি হওয়ায় ফলের আকারও অনেক বেড়েছে। একই আমের শৌখিন মানুষও বর্ধিত দামে কিনছেন। এখানকার কৃষকরা বলছেন, বছরের পর বছর এখানকার কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। গতবার একদিকে ফলন কম, অন্যদিকে আমের আকারও ছিল খুবই ছোট। এ কারণে কৃষকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এর দামী দামের পেছনের গল্প বলতে গিয়ে মানুষ বলে যে এই বিশেষ জাতের আমটি মধ্যপ্রদেশের এই জেলায় আফগানিস্তান থেকে এসেছে।
আরও পড়ুনঃ প্রতি একর এই গাছের 400 চারা লাগান এবং এক কোটি টাকা আয় করুন
এর জন্ম কোথায় ?
এই বিশেষ জাতের আম শুধুমাত্র আলীরাজপুর জেলার কাথিয়াওয়াড়া এলাকায় জন্মে। আমরা আপনাকে বলি যে এই এলাকাটি গুজরাটের সীমান্তে অবস্থিত। যা ইন্দোর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে। এখানকার কৃষক শিবরাজ যাদব জানান, তার বাগানে তিনটি নুরজাহান প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। যার ওপর এ বছর প্রায় আড়াইশ ফল রোপণ করা হয়েছে। তারা বলছেন, দাম দেখে সবাই কিনতে পারবেন না। এটি গাছে বুক করা হয়। এর পরই ক্রেতার কাছে আম পাওয়া যায়। দুর্লভ এই আমের স্বাদ নিতে হলে আপনাকে অগ্রিম বুকিং করতে হবে।
সাড়ে তিন কেজির আম
যাদব বলেছেন যে আমরা বুকিংয়ের সময় স্থানীয় লোকদের অগ্রাধিকার দিই। এরপর বহিরাগতদের বুকিং দেওয়া হয়। যারা এ বছর বুকিং দিতে পারেননি তারা পরের বছরই এর স্বাদ নিতে পারবেন। আমের ওজন সম্পর্কে তিনি বলেন, এর ওজন অনেক বেশি। একটি আম পুরো পরিবারকে পূরণ করে। এর আম 2 থেকে 3.5 কেজি পর্যন্ত হয়। এই জাতের আম শুধু ভারতেই নয় বিদেশেও পছন্দের।
আরও পড়ুনঃ গ্রীষ্মকালীন তিল ফসলে পোকামাকড়ের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা
নূরজাহানের গাছ আসে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে। যেখানে আম পাকে জুন মাসে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এর দৃশ্য স্থায়ী হয়, যার কারণে বেশি উৎপাদন হয়। এই জাতের আম বৃষ্টির পর খুব ভারী হয়ে যায়। চাষিরা জানান, আমের মতো এর দানাও অনেক ভারী। যার ওজন ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত। লক্ষণীয় যে অনেক জাতের আমের ফলেরও তেমন ওজন নেই। কৃষক ইসহাক মনসুরী জানান, এবার সর্বোচ্চ একটি আম বিক্রি হয়েছে প্রায় ১২০০ টাকায়।