‘ছাদ কৃষি’ শব্দটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত আর আজকাল তো বাড়িতে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই সবুজের সন্ধানে বাগান করে থাকি। বাড়ির বাগানে বিভিন্ন উদ্ভিদের বাহার দেখে চোখ ও মনের প্রশান্তি ঘটে।
কিন্তু সুন্দর একটা বাগান পেতে হলে সঠিক পদ্ধতিতে পরিচর্যা একান্ত আবশ্যক একটি কাজ। কিন্তু সমস্যা হলো এ বিষয়ে আমরা সবাই আগ্রহী হলেও ঠিক কীভাবে কোন সার প্রয়োগ করব তা অনেকেরই অজানা। আজ আমরা ছাঁদ বাগান, মাঠ বাগান বা বানিজ্যিক বাগানের গাছে বা টবের গাছে ডিমের খোসা বা খোসার তৈরি সারের ব্যাবহার সম্পর্কে জানাবো।
প্রথমেই ডিমের খোসাকে ব্যাবহার উপযোগী করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে ডিমের খোসা সংগ্রহ করতে হবে, সংগ্রহকৃত ডিমের খোসা ভালভাবে শুঁকিয়ে নিতে হবে।শুকানো ডিমের খোসা গুলকে গুড়ো করে পাউডারে রূপান্তর করতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্লেন্ডার, মিক্সচার ব্যাবহার করা যেতে পারে বা জাতুনিতে পিশেও তৈরি করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে খোসা গুলো জেন ভালভাবে মিহি হয়, দানা দানা যেন না থেকে যায়।
আরও পড়ুনঃ জল্পনার অবসান,অবশেষে পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী হলেন শাহবাজ
ডিমের খোসা থেকে তৈরি সার কোথায় ব্য়বহার করা যেতে পারে
আমরা ডিমের খোসার গুঁড়ো জল দিয়ে পাতলা করে গাছের নীচে ব্যবহার করতে পারি। এই সার টমেটো এবং বেগুনের মতো শাকসব্জিতে জলজনিত রোগ এবং পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করা- এর মতো রোগের চিকিত্সা করতে কার্যকর।
এছাড়া এই কম্পোস্ট গোলাপ গাছে প্রয়োগ করলে ফুল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গাছ বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা যেতে পারে। টবে মাটির মিশ্রণ প্রস্তুত করার সময় ১-৪ ডিমের খোসার চূর্ণ দিয়ে একটি গাছ লাগানো যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ছাড়াল ৪৫ ডিগ্রি, কৃষকদের জন্য় রইল কিছু পরামর্শ
টবের মাটিতে ডিমের খোসার সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমে টবের মাটিকে নিড়ানী দিয়ে বা খুঁচিয়ে আলগা করে দিতে হবে। তারপর পরিমান মত ডিমের খোসার সার টবের চারিদিকে খুঁচানো মাটির উপর ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
ডিমের খোসার সার প্রয়োগের ফলে মাটিতে পিঁপড়ে ও পোকা মাকড় আক্রমনের আশংকা থাকে। তাই খোসার সারের সাথে নিম বা খৈলের গুড়ো মিশিয়ে প্রয়োগ করুন যাতে ক্ষতিকর কীট পতঙ্গের আক্রমন থেকে রক্ষা হয়।