কোন গাছে কতটা সার দিতে হবে সেটা সাধারণত জমির প্রকৃতি,মাটির উর্বরতা শক্তি, এলাকা এবং কোন ধরনের জাত ব্যবহার করা হয়েছে তার উপর নির্ভর করে। গাছের প্রয়োজনীয় সার সব সময় জৈব এবং অজৈব সারের মাধ্যমে প্রয়োগ করা উচিত। জৈবসার (Organic Fertilizer) প্রয়োগ করলে লেবুজাতীয় ফলের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় বিশেষ করে। জমির উপরে সবসময় জৈবসার প্রয়োগ করলে মাটির গঠন এবং ভৌত প্রকৃতি খুবই ভালো থাকে।
সমস্ত গাছের সম্পূর্ণ নাইট্রোজেনের চাহিদা গোবর সার (২৫%), তেল-খৈল (২৫%) এবং রাসায়নিক সারের (৫০%) পূরণ করতে হবে। ফসফরাস (P) এবং পটাশিয়াম (K) যথাক্রমে সুপার ফসফেট এবং সালফেট অফ পটাশ অথবা মিউরিএট অফ পটাশ এর মাধ্যমে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
অন্ধ্রপ্রদেশে বছরে জমিতে দুবার সার প্রয়োগ করা হয়। গোটা বছরে পুরো জমিতে যতটা পরিমাণ সার প্রয়োজন হয় সেটিকে দুটি ভাগে দেওয়া হয়। যথাক্রমে ডিসেম্বর জানুয়ারি (প্রধান ফুল আসার পূর্বে) এবং জুন-জুলাই (যখন ফলের বৃদ্ধি হয়)।
একটি পূর্ণবয়স্ক পাতিলেবু গাছে বছরে ৫০ কেজি গোবর সার, ৯০০ গ্রাম নাইট্রোজেন, ২৫০ গ্রাম ফসফেট এবং ৫০০ গ্রাম পটাশ অবশ্যই দিতে হবে। পুরো পরিমাণ গোবর সার এবং ফসফেট, অর্ধেক পরিমাণ নাইট্রোজেন এবং পটাশ বর্ষার প্রয়োগ করা হয়। বাকি অর্ধেক নাইট্রোজেন এবং পটাশ গাছে ফুল আসার পর অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিল মাসে প্রয়োগ করা হয়। গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পাতি লেবু চাষের জন্য জমিতে চুন (লাইম) প্রয়োগ করা হয়।
আমাদের দেশে পাতিলেবু (Lemon Cultivation) তে সাধারণত গাছের গোড়ায় গোলাকার রিং বানিয়ে তারমধ্যে সার প্রয়োগ করা হয়। পাতি লেবুর গাছের শিকড় মাটির ভেতরে খুব বেশি গভীরে বিস্তৃত হয় না বেশিরভাগ শেখ মাটির উপরিভাগ থেকে ৪৫-৬০ সেন্টিমিটার এর মধ্যেই অবস্থান করে।
আরও পড়ুন - হলুদ চাষে উন্নত ফলনের জন্য রোগ পোকার প্রতিকার (Turmeric Cultivation)
জৈব এবং অজৈব সার | ১ম বছর/ গাছ | প্রতি বছর সারের বৃদ্ধির পরিমাণ | ৬ষ্ঠ বছর - পরবর্তী প্রতি বছর |
গোবর সার | ১০ কেজি | ৫ কেজি | ৩০ কেজি |
নাইট্রোজেন | ২০০ গ্রাম | ১০০ গ্রাম | ৯০০ গ্রাম |
ফসফরাস | ১০০ গ্রাম | ২৫ গ্রাম | ২৫০ গ্রাম |
পটাশিয়াম | ১০০ গ্রাম | ৪০ গ্রাম | ৫০০ গ্রাম |
বছরে তিনবার (মার্চ, জুলাই এবং অক্টোবর মাসে) গাছের কচি পাতা বেরোনোর সময় ০.৫% হারে (৫০০ গ্রাম/ ১০০ লিটার জলে গুলে) জিংক সালফেট কাছে গাছে স্প্রে করা অত্যন্ত জরুরি।