আলু এমন একটি সব্জি, যা আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন রান্নায় ব্য়বহার করি । আলু দিয়ে যেকোনো সবজি তৈরি করা যায়। প্রতি মাসে বাঙালির প্রতিটি ঘরে ঘরে রান্নায় আলু ব্য়বহার হয়। এর ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে এর ফলনও বেশি। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই আলু চাষ করা হয়।
আলু চাষে অধিক মুনাফা পেতে হলে এর চাষের সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। চাষ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে আলু থেকে অধিক ফলন ও লাভ পাওয়া যায়। আলু চাষের প্রক্রিয়া সম্পর্কে কথা বললে, এতে বপন, সেচ, রোপণ ইত্যাদি জড়িত। এখানে আমরা আপনাকে আলু রোপণ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দেব, যাতে আপনি আলু থেকে ভাল ফলন পেতে পারেন এবং অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আলু বপন প্রক্রিয়া সম্পর্কে।
মাটি পরীক্ষা
আলু বপনের সময় প্রথমেই দেখতে হবে মাটির অবস্থা কেমন আছে। ক্ষারীয় মাটি ছাড়া প্রায় সব ধরনের মাটিতেই আলু চাষ করা যায়। তবে, মাটির pH মান ৫.২ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিত।
আরও পড়ুনঃ জৈব চাষ করে লক্ষাধিক আয় করছেন কৃষক জয়রাম, জেনে নিন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন
বীজ বপনের সময়
আলু একটি রবিশস্য। অর্থাৎ, এটি নাতিশীতোষ্ণ মৌসুমে বপন করা এবং জন্মানো ফসল হিসাবে বিবেচিত হয়। এই ঋতুটি প্রধানত ভারতে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত চলে, তবে কিছু রাজ্যে এই ব্যবধান কমবেশি হতে পারে।
সঠিক আলু বীজ নির্বাচন করা
আলুর ভাল বপনের জন্য সঠিক বীজ নির্বাচন করুন। প্রথমত সব সময় সঠিক জায়গা থেকে বীজ কিনুন।
আরও পড়ুনঃ আলুর রোগ ও তার প্রতিকার
আলু বপন পদ্ধতি
-
আলু বপনের জন্য সারি এবং গাছের দূরত্বের মধ্যে একটি ভারসাম্য থাকা উচিত।
-
গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ২০ থেকে ২৫ সেমি রাখা উচিত
-
সারি থেকে সারির দূরত্ব ৫০ সেমি রাখা উচিত
-
বীজ বপনের সময় মাটি সমতল রাখতে হবে।
-
মাটিতে বীজ বপনের পর উপর থেকে মাটি দিয়ে ঢেকে দিন।
-
জমিতে ৬০ সেন্টিমিটারে একটি লাইন তৈরি করা হয় এবং এই তৈরি লাইনগুলিতে ৫ সেন্টিমিটার একটি গর্ত তৈরি করে ১৫ থেকে ২০ সেমি দূরত্বে আলুর কান্ড বপন করা হয়।
-
একটি কোদাল বা অন্যান্য মেশিন দিয়ে একটি রিজ তৈরি করে, উপযুক্ত দূরত্ব এবং গভীরতায় আলু বীজ রোপণ করা যেতে পারে।