জিরা (Jeera) একটা অত্যন্ত জনপ্রিয় মসলা যার ইংরেজী নাম Cumin | রান্নায় জিরার ব্যবহার সকলেরই জানা । আজ আমরা আপনাদের সাথে জিরা চাষের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। এতে করে আপনারা সহজেই জিরা চাষের বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন দেখে নিন জিরা চাষের পদ্ধতি বিস্তারিত
জিরে চাষে প্রয়োজনিয় জলবায়ু
নাতিশীতোষ্ণ এবং শুষ্ক আবহাওয়া জিরা চাষের জন্যে উপযুক্ত। সুনিষ্কাশিত উর্বর,গভীর এবং বেলে দোঁআশ মাটি জিরা চাষের জন্যে উত্তম। ফল ধরার সময়ে শুকনা ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং ফল পুষ্ট হওয়ার সময়ে নাতিশীতোষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া জিরা চাষের জন্যে আদর্শ। মেঘলা আবহাওয়া, অধিক বৃষ্টিপাত এবং অতিরিক্ত ঠান্ডায় জিরার ফলন ভালো হয় না।
জিরে চাষ করতে কিভাবে জমি তৈরি করবেন
জমি ভালো ভাবে চাষ ও মই দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে। মাটি ঝুরঝুরা করে দিতে হবে। তারপর তাতে সার প্রয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ রেশম চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন এই গ্রামের ১৩০টি পরিবার
জিরে চাষ করতে সারের প্রয়োগ
-
হেক্টর প্রতি ১০ টন জৈব সার, এবং শেষ চাষের আগে ১০ কেজি নাইট্রোজেন, ২০ কেজি ফসফেট সার হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে।
-
বীজ বপন করার ৩০ দিন পরে আরো একবার নাইট্রোজেন সার দিতে হবে। সার প্রয়োগ করার পর জমিতে হালকা সেচ দিতে হবে।
জিরে চাষ করতে যেভাবে সেচ দিতে হবে
-
উন্নত ফলন পেতে হলে জমিতে প্রয়োজনীয় সেচ দিতে হবে। বীজ বপন করার পর জমিতে যদি জো না থাকে তাহলে হালকা সেচ দিতে হবে।
-
প্রয়োজন পড়লে পরে আরো কয়েকবার সেচ দিতে হবে। মাটি শুকনা রাখা যাবে না। ফুল আসার পর বা জিরা পরিপক্ক হবার সময় মাটি শুকনা থাকলে ফলন ভালো হবে না।
-
তবে জমিতে যেন জল জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে নালা তৈরি করে দিতে হবে অতিরিক্ত জল বের হয়ে যাবার জন্য।
আরও পড়ুনঃ মশার উপদ্রপ? আজই বাড়িতে লাগান এই গাছগুলি, পালাবে মশা
পরিচর্যা
বীজ বোনার ২৫-৩০ দিন পরাগাছা এবং অতিরিক্ত চারা তুলে ফেলতে হবে এবং চারার গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে। জমিতে যথেষ্ট পরিমান জো না থাকলে বীজ বোনার পরে হালকা সেচ দিতে হবে। ফুল আসার সময় এবং জিরা পুষ্ট হওয়ার সময় যেন মাটি শুকনা না থাকে তা লক্ষ্য রাখতে হবে।