রাজস্থানে গলদা চর্মরোগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক ডা. বীরেন্দ্র নেত্র জানান, এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০৬টি গরু জরিপ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩ হাজার ৯১৭টি গরু আক্রান্ত পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, কৃষি ও পশুপালন মন্ত্রী লালচাঁদ কাটারিয়া প্রতিনিয়ত পশুদের এই রোগের অবস্থা খতিয়ে দেখছেন। অন্যদিকে গলদা চর্মরোগ প্রতিরোধে ৪১ লাখ ডোজ গোটপক্স ভ্যাকসিন কেনার প্রস্তুতি চলছে।যেখানে কয়েকটি জেলায় এর টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, হরিয়ানা সরকার 20 লক্ষ প্রাণীকে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি, রাজ্য সরকার 17 লক্ষ গাউট পক্স ভ্যাকসিনের অর্ডার দিয়েছে। বর্তমানে রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার পশুপাখি তার কবলে পড়েছে। বেশিরভাগ রাজ্যে এটি ঠেকাতে পশুদের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ এটি একটি সংক্রামক রোগ।
আরও পড়ুনঃ অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি, কাঠগড়ায় বিধায়ক পরেশ পাল
পশুপালন মন্ত্রী কাটারিয়া বলেছেন, রোগাক্রান্ত গরুর জীবন রক্ষা করা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এতে সম্পদের কোনো অভাব হবে না। গলদা চর্মরোগ নিয়মিত পর্যালোচনা করা হচ্ছে. মন্ত্রী থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় মতামত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন ও পশুপালন দফতরের কর্মকর্তাদেরও রোগের গুরুতরতা বুঝে দলগত মনোভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ৮ মাসে প্রায় ৬০০ কৃষকের আত্মহত্যা, দেশ কি কৃষি-সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে?
কাটারিয়া গৌশালাগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সংক্রমিত পশুদের আইসোলেশন সেন্টার, ওষুধের প্রাপ্যতা, মৃত পশুর নিষ্পত্তি, সচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করেন। এতে উরমুল ডেইরির সহযোগিতাও নিতে হবে বলে জানান ড. বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অফিসাররা মাঠে থাকে এবং প্রতিটি পরিস্থিতির উপর নজর রাখে। রাজ্যের ছুটির দিনেও পশুপালন দফতরের সমস্ত অফিস খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।