এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 17 April, 2019 11:13 AM IST

বর্তমানে মাছ চাষীদের মধ্যে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ ধরার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে। এই ভাবে মাছ ধরলে একদিকে যেমন এই মাছ অস্বাস্থ্যকর অন্যদিকে তা মাছচাষের জন্য ক্ষতিকর কারণ এর ফলে পুকুরের স্বাভাববিক পরিবেশ নষ্ট হয় ফলে পরবর্তী মাছ চাষে মাছেদের জন্য প্রাকৃতিক খাবার কম ও অস্বাস্থ্যকর হয় ফলে মাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়ে মাছচাষীরা ক্ষতির স্বীকার হন। এভাবে মাছ মারলে অনেক কুফল হতে পারে, যেমন –

  1. পুকুরের জলে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ মারার পর ঐ পুকুরে মাছ ছাড়লে মাছের বৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। কারণ কীটনাশক প্রয়োগের কয়েক মাস পর তা মারণ মাত্রায় না থাকলেও কিছু মাত্রায় পুকুরে থাকে এবং পুকুরের মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনে বাঁধা সৃষ্টি করে। এছাড়া মাছের শরীরেও এই অবশিষ্ট কীটনাশক প্রবেশ করে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যদিও মাছ বেঁচে থাকে কিন্তু তাদের বৃদ্ধি ভাল হয় না এবং জননাঙ্গ ঠিকমত পূর্ণতা পায় না।
  1. পুকুরের জলে কীটনাশক থাকলে তা স্বাভাবিক ভাবেই মাছের শরীরে প্রবেশ করে জমা হতে থাকে। ঐ মাছ খাদ্য হিসাবে গ্রহনের সঙ্গে সঙ্গে কীটনাশকটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং মানুষের দেহে চর্বি জাতীয় টিস্যুতে জমা হয়। শরীরে জমা হতে থাকা এই সব বিষের ক্রিয়ায় মানুষের স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
  2. পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগের ফলে পুকুরের বাস্তুতন্ত্রের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং পুকুরের উর্বরতা নষ্ট হয়।

পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগের কুফল

  • পুকুরের বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট ,
  • পুকুরের মাছের প্রাকৃতিক খাদ্যকণার উৎপাদন ব্যাহত,
  • পুকুরের জল ও মাটির রাসায়নিক পরিবর্তন,
  • পুকুরের মাছের বৃদ্ধি ব্যাহত ও জননাঙ্গের অপূর্ণতা,
  • কীটনাশক যুক্ত মাছ গ্রহণের ফলে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা।

তথ্য সহায়তায় - ড: কিশোর ধারা।

রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)

English Summary: affect-of-pesticides-in-aquaculture
Published on: 17 April 2019, 11:13 IST