কৃষিজাগরন ডেস্কঃ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব কৃষির ওপর পড়ছে। ফসল থেকে ভালো উৎপাদন পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। এখন কৃষিতে আবহাওয়াজনিত ঝুঁকিও বেড়েছে, তাই চাষিরা কৃষিকাজের পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও আগ্রহী হচ্ছেন। গত কয়েক বছরে, ডিমের ক্রমবর্ধমান চাহিদার মধ্যে হাঁস-মুরগির চাষও ভাল আয়ের উৎস হয়ে উঠছে। কিন্তু কর্ণাটকের কৃষকদের সমস্যা ছিল যে তারা কৃষি জমিতে মুরগি পালন Animal Husbandry করতে পারত না। ফসলের জায়গায় হাঁস-মুরগির খামার লাগানো নিয়ম মেনে ছিল না, কিন্তু এখন হাঁস-মুরগি পালনে ক্রমবর্ধমান লাভের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার তা অনুমোদন করেছে। এখন চাষের জমিকে মুরগির খামারে রূপান্তর করা যাবে।
কর্ণাটক সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে যে কৃষকরা চাইলে চাষের জমিতে মুরগি পালন করতে পারবে। এই মামলাটি ভূমি সংস্কার আইন, ১৯৬১-এর ধারা ২-(ক)(১)(ঘ) এর অধীনে আসে, যেখানে এখন হাঁস-মুরগি পালনকে একটি কৃষি কার্যকলাপ হিসাবেও সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে৷ এরপর কৃষকদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ প্রতি বছর ৫-৬ লক্ষ আয় হবে, শিখে নিন কম খরচে মাছ চাষের এই কৌশল
এখন চাষযোগ্য জমির মাত্র এক অংশ মুরগি পালনের জন্য ব্যবহার করা যাবে বা মুরগির খামারে রূপান্তর করা যাবে। এর জন্য ভূমি রাজস্ব আইন, ১৯৬৪ এর ধারা ৯৫(২) এর অধীনে আপনার জেলা কালেক্টরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এর জন্য আগ্রহী কৃষককে আবেদন করতে হবে, এরপর চাষের জমির একটি অংশে হাঁস-মুরগি পালনের অনুমতি দেওয়া হবে। জানিয়ে রাখি, এই বিষয়টি বহুদিন ধরেই প্রস্তাব করা হয়েছিল। রাজ্যের পশুপালন মন্ত্রী প্রভু চৌহান এই বিষয়টি সরকারের সামনে রেখেছিলেন, যা এখন অনুমোদন পেয়েছে।
কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে সারাদেশে বিশেষ প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কৃষকদের মাল্টিটাস্কিং ফার্মিং বা সমন্বিত চাষের সাথে যুক্ত করা হচ্ছে। সমন্বিত কৃষি বা সমন্বিত চাষ পদ্ধতিতে ফল, সবজি শস্য একই জমিতে একসঙ্গে চাষ করা হয়। এর পাশাপাশি একই জমিতে পুকুর তৈরি করে হাঁস-মুরগি পালন, মাছ চাষ ও পশুপালন করা হয়।
আরও পড়ুনঃ শীতকালে গবাদি পশুর যত্ন নেবেন কিভাবে?
এই কৃষি মডেল গ্রহণের জন্য সরকার ভর্তুকিও দেয়। সমন্বিত চাষ পদ্ধতির মূল লক্ষ্য হল চাষের খরচ কমানো এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করা। এখন কর্ণাটকের কৃষকরাও চাষের পাশাপাশি একটি অংশে মুরগি পালন করে ভাল আয় করতে সক্ষম হবেন।