বাছুর যেকোন গো - খামারের ভবিষ্যত মেরুদন্ড এবং অর্থনৈতিক দিক নির্ধারণকারী । বাছুরের সঠিক পুষ্টির সঙ্গে অনাক্রমতাবর্ধক ভালো মানের কোলোস্ট্রামের অত্যন্ত প্রয়োজন। সদ্য প্রসূত গরুর প্রথম দুধকে কোলোস্ট্রাম বলা হয়। বাছুর মাতৃগর্ভে থাকাকালীন মায়ের থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে থাকে কিন্তু আমরা ইমিউনোগ্লোবিউলিনকে মায়ের শরীর থেকে বাছুরের দেহে প্রবেশে বাঁধা দিয়ে থাকি । তাই সদ্যজাত বাছুর কম অনাক্রমতা দিয়ে জন্মায় এবং এর জন্য মায়ের প্রথম দুধ বাছুরের একান্ত আবশ্যক । এই কারণে কোলোস্ট্রামে থাকা উপযুক্ত পুষ্টি শুধুমাত্র বাছুরের পক্ষে যথেষ্ট নয় , কারণ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় অনাক্রমতা অর্জন করতে উপযুক্ত পরিমাণ ইমিনানোগ্লোবিউলিন আছে কিনা জানা দরকার, যা কিনা মায়ের প্রথম দুধ থেকে একমাত্র পাওয়া সম্ভব। সাধারণত উন্নতমানের কোলোস্ট্রামে ৫০ মিলিগ্রাম / মিলিলিটার বা তার বেশি ইমিউনোগ্লোবিউলিন থাকে। কোলোস্ট্রামে ইমিনোগ্লোবিউলিনের পরিমাপ সবসময় পরিবর্তিত হতে থাকে যার ফলে কম গুণগত মানের কোলোস্ট্রাম বাছুরকে খাওয়ালে বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল এবং অনেক সময় বাছুরের মৃত্যুও ঘটে থাকে।
কিছু কৌশলগত উপায় যা কোলোস্ট্রামের গুণগতমানকে বৃদ্ধি করতে সহায়ক –
১) গর্ভাবস্থার শেষ দুই মাস, গাভীন গরুর থেকে দুধ দোয়া বন্ধ করতে হবে, অন্ততপক্ষে শেষ ৩০-৪০ দিন দুধ দোয়া একদম বন্ধ করা উচিৎ।
মিলিগ্রাম / মিলিলিটার থাকে।,২)প্রসবের ৪-৬ মাস আগে গাভীন গরুকে টীকাকরণ করলে এবং প্রসবের ২-৩ সপ্তাহ আগে কৃমির ঔষধ খাওয়ানো হলে কোলোস্ট্রামে ইমিউনোগ্লোবিউলিনের পরিমান বৃদ্ধি পেয়ে থাকে ।
৩) স্তনপ্রদাহ জনিত রোগে আক্রান্ত বাঁটের কোলোট্রাম কখনোই সদ্যজাত বাছুরকে পান করানো উচিৎ নয়। সর্বদা পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নভাবে কোলোস্ট্রাম দোয়ানো দরকার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোয়ার পর বাছুরকে খাইয়ে দিতে হবে। কারণ কোলো স্ট্রামের তাপমাত্রা শরীরের তাপমাত্রার কাছাকাছি থাকাকালীন বাছুরকে খাওয়ালে কোলোস্ট্রামের শোষনহার ভালো হয়।
৪) কোলোস্ট্রাম খাওয়ানোর সময় তিনটা শব্দ মাথায় রাখা দরকার – তাড়াতাড়ি, পরিমান ও গুণমান বিচার করা। জন্মের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোলোস্ট্রাম খাওয়ানো যেন ২ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়ানো হয়ে যায়। কমপক্ষে ২-৩ কেজি কোলস্ট্রাম খাওয়ানো উচিৎ, যাতে ইমিউনোগ্লোবিউলিনের পরিমাণ ন্যূনতম ৫০ মিলিগ্রাম বা মিলিলিটার থাকে
Image source - Google
Related link - (Blight disease of rice) ধানের ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতা পোড়া/ঝলসা রোগের লক্ষণ ও তার প্রতিকার
Share your comments