গ্রামের বাড়ির ছোট একটি জায়গাকে ঘিরে খাঁকি ক্যাম্পবেল সহজেই চাষ করা যায়। কৃষি দপ্তরের আতমা প্রকল্পের সহায়তায় ও প্রাণী সম্পদ দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু সয়ম্ভর গোষ্ঠির মহিলা দলকে বিনামূল্যে খাঁকি ক্যাম্পবেল প্রজাতির হাঁসের বাচ্চা তার সাথে হাঁসের খাবার, ভ্যাকসিন, ভিটামিন ওষুধ ইত্যাদি দিয়ে খাঁকি ক্যাম্পবেল চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এই হাঁস চাষ করে কৃষকরা নানাদিক থেকে লাভবান হবে।
খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁস চাষ করে ডিম ও মাংস বিক্রি করে লাভ করা যায় । পাশাপাশি হাঁসের লিটার বা বর্জ পুকুরের মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা যায়। এই সমস্ত হাঁস মশার লার্ভা খেয়ে নেয় ও পুকুর ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখে। হাঁস চাষের ১৮০ দিন পর থেকে বছরে গড়ে ২৮০ টি ডিম পাওয়া যায়। এছাড়া মাংস বিক্রি করে মোটা টাকা রোজগার হয়। তিন বছর পর্যন্ত এই হাঁস চাষ করা যায়। বাড়ির বাড়তি খাবার সহজেই হাঁসের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায় তাই বাড়তি আয়ের দিক থেকে হাঁস চাষ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই চাষ খুবই লাভজনক কারণ খাওয়ার খরচ বা বেশী পরিশ্রম কোনটাই এতে লাগে না। তবে যেখানে হাঁসগুলি রাখা হয় সেই স্থান প্রতিদিন পরিষ্কার করে নিতে হয়।
গত বছর হলদিয়া, কাঁথি , নন্দীগ্রামের বিভিন্ন ব্লকে কৃষি দপ্তরের আতমা প্রকল্পের সহায়তায় ও প্রাণী সম্পদ দপ্তরের সহায়তায় খাঁকি ক্যাম্পবেল প্রজাতির হাঁস চাষ করা হয়েছে। এবছর চন্ডীপুর, মহিষাদল, ময়না ইত্যাদি ব্লকে নতুন করে এই চাষ করা হচ্ছে।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)