সবুজ গোখাদ্যের অপ্রতুলতাই প্রানীজ দ্রব্যের অধিক উৎপাদনের প্রতিবন্ধকতা। সবুজ গোখাদ্যের এই অপ্রতুলতায় অ্যাজোলা চাষের মূল কারন। অ্যাজোলা খাওয়ানোর পূর্বে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। শুকনো অ্যাজোলাও খামারের প্রানীদের খাওয়ানো যায়। সরাসরি বা অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে অ্যাজোলা খাওয়ানো যেতে পারে। অ্যাজোলা খাওয়ানোর পর গাভীর দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। অন্যান্য প্রানীর ক্ষেত্রেও অ্যাজোলা পুষ্টিকর খাবার।
বিভিন্ন প্রানীরা সহজেই অ্যাজোলা হজম করতে পারে। অ্যাজোলা সরাসরি বা দানা খাদ্যের সাথে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। গাই ছাড়াও মুরগী, ছাগল,ভেড়া, শুকর ও খরগোশকে অ্যাজোলা দেওয়া যেতে পারে। অ্যাজোলা মুরগীর ক্ষেত্রে ৫% এর বেশী দেওয়া যায় না
খামারের বিভিন্ন পশুকে কিভাবে ও কতটা পরিমানে অ্যজোলা খাওয়ানো যায় তার ছক দেওয়া হল -
প্রাণী |
পরিমাণ |
গরু |
সর্বাধিক ২ কেজি প্রতিদিন |
মহিষ |
সর্বাধিক ২ কেজি প্রতিদিন |
ছাগল / ভেড়া |
মোট খাবারের ১৫% |
শুকর |
মোট খাবারের ১০% |
মুরগী |
২০০ গ্রাম প্রত্যহ |
হাঁস |
২০০ গ্রাম প্রত্যহ |
খরগোস |
মোট খাবারের ২৫% |
রুনা নাথ।
তথ্য সূত্র:
ড: মিঠুন সাহা, সহ কৃষি অধিকর্তা, রানীনগর - ২ , মুর্শিদাবাদ।