কৃষকদের আয় বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার প্রায়ই নতুন নতুন যোজনা তৈরী করেছে। এই সময়ই কৃষকদের জন্য একটি সুখবর মানে সুন্দর প্রকল্পের খবর আছে, আসলে এই খবরটা হল এই যে কৃষকরা তাদের আয় দ্বিগুণ করানোর জন্য এখন থেকে ডেয়ারি শিল্পও খুলতে পারবে। অবশ্য এর জন্য তাদের মূলধনের চিন্তা বিশেষ করতে হবে না, কারণ এর জন্য কৃষকদের ব্যাংক থেকে কম সুদে অনেক বেশি মূলধন মিলতে পারে। এর ফলে দুধ উৎপাদনের জন্য তাদের হাতে প্রায় রোজই কিছু না কিছু পয়সার আমদানি থাকতে পারে, এবং এর জন্য বাকী অনেক লোকের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। একটা জিনিষ বলে রাখা ভালো এই যে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার জন্য যে ঋণের প্ল্যান পরিযোজিত হয়েছে, যাতে ওই স্থানে পশুপালনের ক্ষেত্রে ৬২ কোটি তাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
বাগপত একটি কৃষিপ্রধান জেলা। এই জেলা উত্তরপ্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা যেমন মুজফফরপুর গাজিয়াবাদ ও যমুনানদী দ্বারা ঘেরা রয়েছে। এইরকম ভৌগলিক অবস্থানপূর্ণ স্থানে কৃষক তাদের গবাদিপশুর খোরাক খুব সহজেই যোগার করতে পারবে এবং সেই কারণে কৃষক তাঁর চাষের সাথে সাথে গবাদিপশু পালনও করতে পারবে এবং প্রচুর দুগ্ধ উৎপাদনে সক্ষম হবে, ফলে যে গরু প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ লিটার দুধ দেয়, সেই একি গরু ভালো পরিচর্যা পেলে ১৫ থেকে ২০ লিটার দুধ প্রতিদিন অনায়াসেই দিতে সক্কম হবে। এখন বাজারে প্রতি লিটার দুধের দাম প্রায় ৫০ টাকা। এই দরে যদি কোনো কৃষক দিনে পঞ্চাশ লিটার দুধ উৎপাদন করে তাহলে তাঁর প্রতিদিন সেই দুধ বেচে কমপক্ষে ২৫০০ টাকা আয় হতে পারে।
ডেয়ারি থেকে প্রাত্যহিক এত বিশাল অংকের লাভের কথা মাথায় রেখেই ‘ণাবার্ড ব্যাংক’ এই ঋণের ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছে এবং সমস্ত কৃষিঋণের থেকে এই ঋণকে আলাদা করে বিতরণ করবার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। এটা মনে করা হচ্ছে এই যে যদি গরুর ভরণ পোষণ যদি বেশি হয় তাহলে দুগ্ধ উৎপাদনের পরিমাণ বেশি হবে এবং তার সাথে সাথে চাষের জন্য অনেকবেশী গোবরের প্রয়োজনীয়তাও মেটাবে ফলে জৈব সারের ফলে মাটির উর্বরা শক্তি বাড়বে। একটি পরিসংখ্যান অনুসারে বাগপতে ৫.১৫ লাখ পশুপালন হয়। কৃষক চাইলে আর বেশি দুধেল গাই পুষে অনেক বেশি দুগ্ধ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। আর দুগ্ধ বৃদ্ধি করা এমন কোনও ব্যাপারই নয়, কারণ দিল্লী অনেকটাই কাছাকাছি। আর দিল্লীতে দুধের চাহিদা সবসময়ই অনেকটাই বেশি থাকে। যদি এখানকার কৃষকরা ভালো গুণসম্পন্ন দুধ এখানে সরবরাহ করে তাহলে তাদের ভালো দাম পাবার সুযোগ রয়েছে।
- প্রদীপ পাল