নর্থ বেঙ্গল গ্রে ক্যাটল বা উত্তরবঙ্গের ধূসর গরুর আবাস এর নামেই স্পষ্ট। এ জাতের গরু উত্তরবঙ্গে বেশি পাওয়া যায় । রায়গঞ্জ ,হেমতাবাদ ,করনাদিঘি ,ইসলামপুর ,এসব এলাকায় এখনো এ জাতের গরুর দেখা মেলে। যদিও নির্বিচারে সংকরায়নের কারণে আসল জাত হারিয়ে যেতে বসেছে।
একসময় জমিদারি আমলে যখন ভারত থেকে অধিক উৎপাদনশীল গরু এদেশে আমদানি করা হয় তখন স্থানীয় জাতের সাথে দীর্ঘদিন সংকরায়নের ফলে কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ জাতের গরু তৈরি হয়। পরবর্তীতে সেগুলো আলাদা জাত হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর ভারত থেকে আনা গরুর সঙ্গে স্থানীয় জাতের গরুর সংকরায়নের ফলে দীর্ঘদিনের ব্যবধানের আজকের নর্থ বেঙ্গল গ্রে ক্যাটল জাতটির উদ্ভব ঘটেছে।
আরও পড়ুনঃ আপনার গরু,ছাগলের খামারে কি সব সময় মাছি ভরে থাকছে? জেনে নিন খামারকে মাছি মুক্ত করার উপায়
বৈশিষ্ট্য
এ জাতের গরুর গায়ের রঙ সাদা থেকে বিভিন্ন মাত্রার ধূসর বা ছাই রঙ হয়। এ জাতের প্রাপ্ত বয়স্ক ষাঁড় বা বলদের ঘাড়ের লোম হালকা ছাই বর্ণের হয়, বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ রঙ গাঢ় হয়। এ জাতের গরুর মাথার আকৃতি শরীরের তুলনায় ছোট হয়। ঠোঁট ও ঠোঁটের চারপাশ, ভ্রু ও খুর কালো রঙের হয় । এ জাতের সব গরুর লেজ সাদা রঙের হয় । শিং ছোট থেকে মাঝারি, আগা বেশ সুঁচালো হয়। ষাঁড় বা বলদ আকারে বড় হয় ফলে এগুলো হাল বওয়া বা লাঙ্গল টানা ও গাড়ি টানার জন্য উপযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ কম পরিশ্রমে পালন করুন এই জাতের ছাগল! দেখবেন লাভের মুখ
তবে অনিয়ন্ত্রিত সংকরায়নের ফলে অন্যান্য দেশী জাতের মতো নর্থ বেঙ্গল গ্রে ক্যাটলও এখন হুমকির মুখে।