কৃষিজাগরন ডেস্কঃ দেশের গ্রামাঞ্চলে বিপুল সংখ্যক কৃষক মুরগি পালনের সঙ্গে জড়িত।মুরগি পালন এখন কোটি কোটি কৃষকের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে উঠছে । তবে করোনার সময় বিভিন্ন রকম গুজব ছড়ানোর কারণে পোল্ট্রি খামারিদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল। লোকসভায় শীতকালিন অধিবেশন চলাকালীন এনিয়ে প্রশ্ন করেন কংগ্রেস সাংসদ অনুমুলা রেভান্থ রেড্ডি। তিনি সরকারের কাছে মুরগি ও ডিমের ব্যবসায় ক্ষতির বিবরণ জানতে চান। পাশাপাশি সরকার মুরগির ন্যূনতম বিক্রয়মূল্য নির্ধারণের কথা ভাবছে কি না, তাও তিনি জানতে চান।
এ প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মৎস্য এবং পশুপালন মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপালা বলেন, লকডাউনে পোল্ট্রি চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক রাজ্যে ডিম, মুরগি,মাংস বিক্রি এবং পশুখাদ্য পরিবহনেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ক্ষতির কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ লম্পির কারনে এখনও তটস্থ এই রাজ্যের কৃষকরা, গত ৭ দিনে ৭ হাজারেরও বেশি প্রাণী মারা গেছে
পুরুষোত্তম রুপালা আরও জানান যে, পশুসম্পদ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল ২০২০ সালের জুন থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ এবং মূল্য সংযোজন পরিকাঠামো, মাংস প্রক্রিয়াকরণ এবং মূল্য সংযোজন পরিকাঠামো এবং গবাদি পশুর খাদ্য প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য পৃথক উদ্যোক্তা, বেসরকারী কোম্পানি, MSME, কৃষক উৎপাদক সংস্থা (FPOE) গুলিতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,জাতীয় প্রাণিসম্পদ মিশনের অধীনে, গ্রামীণ অঞ্চলে হাঁস-মুরগি চাষের জন্য কৃষকদের ৫০শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের অধীনে, গ্রামীণ এলাকায় পোল্ট্রি খামার স্থাপন থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ ভেনামি চিংড়ি চাষ নিয়ে অভিনব উদ্যোগ কাকদ্বীপে
পুরুষোত্তম রুপালা আরও বলেন, সরকার মুরগির ন্যূনতম বিক্রয়মূল্য নির্ধারণের কথা ভাবছে না। এটি একটি পচনশীল বস্তু। এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং বাজারের অবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন মূল্যের কারণে এর দাম নির্ধারণ করা হয়।