গবাদি পশু খামারিদের জন্য, গরু এবং মহিষ থেকে দুধ নেওয়ার সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, দুটি সময়ে দুধ পাওয়া যায় সকাল এবং সন্ধ্যা। কিন্তু যদি সকাল-সন্ধ্যা দুধ খাওয়ার জন্য সঠিক সময় বেছে নেওয়া হয়, তাহলে দুধ উৎপাদনের পরিমাণ বাড়বে।
দেশের গ্রামাঞ্চলে পশুপালনে কর্মসংস্থান দ্রুত বাড়ছে। এতে যোগ দিয়ে কৃষকরা আর্থিকভাবেও শক্তিশালী হচ্ছেন, তবে অনেক সময় গবাদি পশু পালনকারীদের ভাবতে হয় কখন পশুর দুধ দেওয়ার সঠিক সময়। কারণ গ্রামাঞ্চলের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ গরু-মহিষের দুধের ব্যবসাকে প্রাধান্য দেয়। এমতাবস্থায় পশু খামারিদের পশু থেকে বেশি দুধ পাওয়া খুবই জরুরি। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল দুধ খাওয়ার সঠিক সময়। এমন পরিস্থিতিতে দুধ প্রকাশের সঠিক সময় জানা খুবই জরুরি।
গরু ও মহিষ থেকে দুধ আহরণের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, দুধ খাওয়ার দুটি প্রধান সময় বিবেচনা করা হয়, যা সকাল এবং সন্ধ্যা। যেটিতে সকালে, বিশেষ করে সূর্যোদয়ের পরে কিছুক্ষণ দুধ প্রকাশ করা উত্তম বলে মনে করা হয়। এ সময় পশুরা রাতভর বিশ্রাম নিয়েছে এবং তাদের থলিতে দুধ ভালোভাবে জমেছে। সূর্য ডোবার পরে তাপমাত্রা কমে গেলে সন্ধ্যায় দুধ প্রকাশ করাও ভাল। কারণ এ সময় পশুরা সারাদিনের খাবার খেয়ে থাকে, সেই খাবার হজমের পর দুধ উৎপাদন বেড়ে যায়। এতে দুধের ব্যবসা বাড়ে।
আরও পড়ুনঃ এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে
বিভিন্ন সময়ে দুধের পরিমাণের প্রভাব থাকে
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ খাওয়ার সময় সরাসরি দুধ উৎপাদনকে প্রভাবিত করে। যার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। সারারাত বিশ্রামের পর, সারাদিন পশুখাদ্য খাওয়ার পর সকালে এবং সন্ধ্যায় থোকায় প্রচুর পরিমাণে দুধ জমা হয়। যদি মাঝখানে দুধ দেওয়া হয়, তাহলে থোকায় পর্যাপ্ত দুধ জমা হয় না, যা উৎপাদনকে প্রভাবিত করে। এ ছাড়া পশুরা সকাল ও সন্ধ্যায় বেশি শান্ত ও সতেজ বোধ করে, যার কারণে দুধ খাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং চাপ কম থাকে। এতে দুধের পরিমাণ বেড়ে যায়।
দুধ খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন
দুধ খাওয়ার সময় বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সকালে এবং সন্ধ্যায় দুধ প্রকাশ করা খুব ভাল। দিনের বেলা উচ্চ তাপমাত্রা এবং পশুদের বিশ্রামের অভাবের কারণে দুধের পরিমাণ হ্রাস পেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে পশুদের দুধ দেওয়ার সময় পরিবর্তন না করার চেষ্টা করুন। যদি একটি গরু বা মহিষ একত্রে 25 লিটারের বেশি দুধ দেয় তবে তাদের দুধ সকাল, বিকাল এবং সন্ধ্যায় তিনবার দোহন করা উচিত।