'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 9 July, 2020 9:05 PM IST

প্রাণীসম্পদ পালন কৃষকের জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সবচেয়ে বেশি লাভজনক কৃষি সম্পর্কিত ব্যবসা হিসাবে বিবেচিত। যথাযথ প্রাণীসম্পদ পরিচালন একটি প্রাণীর স্বাস্থ্যের পাশাপাশি লাভজনক পশুপালন ব্যবসার চাবিকাঠি। সঠিকভাবে পরিচালনের সাথে সাথে পালককে জানতে হবে কোন প্রজাতির গো-পালনে অধিক লাভ হবে। জেনে নিন, এরকম কয়েকটি প্রজাতির সম্পর্কে।

গির (Gir) -

এই গরুর জাতটি গুজরাটের দক্ষিণ কাঠিয়াওয়ারের গির বন থেকে উদ্ভূত এবং রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের সংলগ্ন অঞ্চলে পাওয়া যায়। এই প্রজাতির গরু ওয়াদাবরী, দেশান, গুজরাটি, সোরঠী, কাঠিয়াওয়াড়ি এবং সুরতী নামেও পরিচিত। গির গরুর শিংগুলি হয় বাঁকা, 'অর্ধচন্দ্র' এর মতো। এই প্রজাতির গরুর দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১২০০ থেকে ১৮০০ কেজি পর্যন্ত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য এই প্রজাতি বিখ্যাত। সহজে এই জাতের গরুর কোন রোগ হয় না।

শাহিওয়াল (Sahiwal) -

শাহিওয়াল প্রজাতির উৎপত্তি স্থল ভারতের মন্টগোমেরি অঞ্চল (বর্তমানে পাকিস্তানে)। এই জাতের গরু গবাদি পশু লোলা, লাম্বি বার, তেলি, মন্টগোমেরি এবং মুলতানি নামেও পরিচিত। শাহিওয়াল দেশের সেরা গার্হস্থ্য দুগ্ধ জাত। এই প্রজাতির গরুর দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৪০০ থেকে ২৫০০ কেজি। এটি হরিয়ানা, পাঞ্জাব, দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশ সহ ভারতের অনেক জায়গায় দেখা যায়।

কাঁকরেজ (Kankrej) -

এই গবাদি প্রজাতির উৎপত্তি দক্ষিণ-পূর্ব রণ, কচ্ছ, গুজরাট এবং পার্শ্ববর্তী রাজস্থান (বার্মার ও যোধপুর জেলা)। এই গবাদি পশুর বর্ণ ধূসর ও কালো হয়। কাঁকরেজ প্রজাতি বেশ জনপ্রিয়, কারণ  শক্তিশালী এই গবাদি পশুটি টিলেজ এবং কার্টিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই গরুর দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৪০০ কেজি।

রাঠি (Rathi) –

রাঠি জাতটি দেশী গরুর একটি খুব সুন্দর জাত। এর সাহিওয়াল প্রজাতের গরুর সাথে অনেক মিল রয়েছে। এই প্রজাতের গরু প্রতিদিন ২২ লিটার দুধ দিতে পারে। সুতরাং, স্পষ্টতই লক্ষণীয় যে, গবাদি পশুপালকরা এই জাতের গরু থেকে ভাল পরিমাণে দুধ পেতে পারেন। কারণ এই জাতের গরুর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা আবহাওয়া এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভরশীল (Cattle Farm Management)। এই প্রজাতির গরুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এরা খাবার কম খায়, কিন্তু পরিবর্তে বেশি দুধ দিতে পারে। পশুপালকদের মতে, অত্যন্ত পরিশ্রমীও হয় এই জাতটি। রাঠি গরুর চামড়া খুব মসৃণ ও চকচকে হয়। এরা মাঝারি আকারের হয়, শুভ্র বর্ণের গায়ে বাদামী বা কালো দাগ এদের বৈশিষ্ট্য । শিং মাঝারি আকারের এবং অভ্যন্তরে বাঁকা হয়, চেহারা বেশ কিছুটা প্রশস্ত এবং লেজ দীর্ঘ হয়। প্রাপ্তবয়স্ক রাঠি গরুগুলির ওজন প্রায় ২৮০ থেকে ৩০০ কেজি হয়। এই প্রজাতির ষাঁড়ের ওজন ৩৫০ কেজি পর্যন্ত হয়। সব থেকে বড় সুবিধা হল এই গরু যে কোনও অঞ্চলে থাকতে পারে। তাই যে কোন আবহাওয়াতেই কৃষক এর পালন করতে পারবেন। আর এই প্রজাতি প্রতিদিন ১০৬২-২৮১০ কেজি পর্যন্ত দুধ উৎপাদনে সক্ষম হওয়ায় এর থেকে পালক ভালো আয়ও করতে পারেন।

Image Source - Google

Related Link - বিটল ছাগলের (Beetal Goat) চাহিদা তুঙ্গে, পশুপালকদের হতে পারে প্রচুর লাভ

মেষপালন (Sheep Farming) করে আজ লক্ষাধিক মুনাফা অর্জন করছেন এই কৃষক

কোন জাতের ছাগল পালন (Profitable goat rearing) করলে বেশী লাভ হবে পশুপালকের? জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য

English Summary: Cowherd can earn millions by rearing cows of this species
Published on: 09 July 2020, 09:05 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)