কৃষিজাগরন ডেস্কঃ একটি সুসম্পূর্ণ খাদ্য হিসাবে দুধ সবসময় আমাদের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা হয়। আমরা আমাদের বাড়ির শিশুদের শারীরিক বিকাশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হিসেবে দুধকে অন্তর্ভুক্ত করি। কারন দুধে আছে পুষ্টির সম্ভার। কিন্তু যেসব প্রাণী দুধ দেয় তাদের খাদ্যের দিকে তাকালে দেখা যাবে,যে সকল খাবার আমরা গবাদি পশুদের খাওয়াই তাতে সব ধরনের পুষ্টিগুণ থাকে না বা থাকলেও, তা থাকে খুবই কম পরিমাণে। যা সরাসরি গরুর দুধ উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। এই ধরনের পশুখাদ্য খাওয়ার ফলে হয় গবাদি পশুর দুধের ঘাটতি হয় বা তাদের দুধের মানের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে।
গবাধি প্রাণীর জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি
পুষ্টিকর খাদ্য গাভীর দুধ উৎপাদন ও গুণগতমানের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। বেশি খাবার দিলে বেশি দুধ পাওয়া যায়। অবশ্যই সুষম খাদ্য হতে হবে। কারণ খাদ্যে বিদ্যমান উপাদানগুলো ভিন্ন অবস্থায় দুধের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়।
আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগের অভিনব উদ্যোগ –মৎস্যজীবিদের ডিজিটাল সংযুক্তি
পশু খাদ্যে যুক্ত করুন কার্বোহাইড্রেট
গরু/মহিষের দৈনিক খাদ্যে যুক্ত করুন কার্বোহাইড্রেট।কারন কার্বোহাইড্রেটে সর্বাধিক পরিমাণে পুষ্টি থাকে। কার্বোহাইড্রেটের প্রধান কাজ পশুদের শরীরে শক্তি সরবরাহ করা। কার্বোহাইড্রেট প্রধানত ভুট্টা, যব, সবুজ পশুখাদ্য, ভুসি, তুস এবং অন্যান্য শস্য থেকে পাওয়া যায়। শক্তি প্রদানের পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেটের প্রধান কাজ হল প্রোটিন হজম করা এবং দুধে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি করা।
আরও পড়ুনঃ বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালন,এই জাতগুলি দিতে পারে লাভজনক ফল
পশু খাদ্যে ফ্যাটের গুরুত্ব
ফ্যাট জাতীয় খাবার হল প্রাণীদের শক্তির প্রধান উৎস। এটি এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের চেয়ে দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি শক্তি সরবরাহ করে। ফ্যাট জাতীয় খাবার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ।পশুর খাদ্যে ৩-৫ শতাংশ চর্বি পাওয়া যায়। এমনকি যখন খাবারের অভাব হয়, তখন চর্বি শরীরে শক্তি বজায় রাখতে কাজ সাহায্য করে। এটি সব ধরনের তৈলবীজ জাতীয় খাবার যেমন- সয়াবিন,ইত্যাদিতে সহজে পাওয়া যায়।
পশু খাদ্যে ভিটামিনের গুরুত্ব
ভিটামিনের অভাবে পশুদের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যার কারণে তাদের খাদ্যে ভিটামিনের দিকটি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিৎ ।তাই পশু খাদ্যের সঙ্গে ভিটামিন A, D এবং E দিতে হবে। ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হয় রুমিন্যান্ট প্রাণীদের পেটে উপস্থিত অণুজীব দ্বারা। অন্যান্য ধরণের ভিটামিন প্রাকৃতিকভাবে প্রাণীদের ভিতরে তৈরি হয়।