পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্প: হ্যান্ডলুম থেকে টেরাকোটা রোজ বদলাচ্ছে আকাশের মেজাজ: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update of Bengal) ক্যাপসিকাম চাষে ফলন ভালো, লাভ নেই! সরকারি সাহায্যের অভাবে ক্ষোভে চাষিরা
Updated on: 27 February, 2019 4:52 PM IST

চিংড়ি মাছ চাষের সময় চিংড়ি মাছের কিছু রোগ হতে পারে এরফলে চিংড়ি মাছ খতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই আমাদের এই সব রোগ সম্বন্ধে জানতে হবে।

চিংড়ি মাছের খোলস যদি নরম হয়ে যায় তাহলে ওই মাছের রোগ হয়েছে বুঝতে হবে। জলে ক্যালসিয়াম ও খাদ্যের গুনাগুণ কমে গেলে বা জলের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে এই রোগ হয়। এই রোগের প্রতিকারের জন্য পুকুরের প্রায় ৫০ শতাংশ জল পরিবর্তন করতে হবে। পুকুরে প্রতি একরে ১৫-২০ কেজি চুন প্রতি মাসে দিতে হবে। পুকুরে সারের পরিমাণ কমাতে হবে।

রোগের কারণে চিংড়ি মাছের মাথায় ও ফুলকাতে কালো দাগ হয়ে যায়। পুকুরে অ্যামোনিয়া ও খাদ্যে ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি কমে গেলে এই রোগ হয়। পুকুরের ৪০-৫০ শতাংশ জল পরিবর্তন করতে হবে। খাদ্যের সাথে ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি মিশিয়ে দিতে হবে।

অনেক সময় রোগের কারণে চিংড়ি মাছের ফুলকা পচে যায়। পুকুরে ফাঙ্গাসের জন্য এমন হতে পারে। তাছাড়া পুকুরে অতিরিক্ত জৈব পদার্থের জন্য এই রোগ হতে পারে। এর জন্য পুকুরের ৪০-৫০ শতাংশ জল পরিবর্তন করতে হবে। মাছের খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পুকুরে চিংড়ি মাছের সংখ্যা কমাতে হবে।

চিংড়ি মাছের বিকলাঙ্গ রোগ হয়। পুষ্টিকর খাবারের অভাবে এই রোগ হয়। এরফলে মাছের শরীর বেঁকে যায়। এরজন্য পুকুরে চিংড়ি মাছের সংখ্যা কমাতে হবে, জল পরিবর্তন করতে হবে , প্রতি মাসে পুকুরে প্রতি একরে ২০-২৫ কেজি চুন দিতে হবে। পুকুরের তলার অতিরিক্ত কাদা সরিয়ে ফেলতে হবে। জলের গভীরতা ৫০-১০০ সেন্টিমিটারে রাখতে হবে। পুকুরে কোনো বাজে জিনিস যেন ফেলা না হয়। কিছু পরিমাণে জলজ গাছ রাখতে হবে।

চিংড়ি মাছের যাতে রোগ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর যদি কোনো কারণে এদের রোগ হয় তাহলে উপযুক্ত প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে।

- দেবাশীষ চক্রবর্তী

English Summary: Diseases and medications of prawn
Published on: 27 February 2019, 04:52 IST