উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: ময়নাগুড়ি ব্লক প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে ছাগল বিতরণ করা হয়। এদিন দপ্তরের পক্ষ থেকে ব্লকের দশটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একশো জন মহিলার প্রত্যেককে একটি করে ছাগল দেওয়া হয়। এই ছাগল বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ময়নাগুড়ি ব্লক প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক কোন্দা মুর্মু, ময়নাগুড়ি বিডিও শুভ্র নন্দী, ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ অজয় মল্লিক , ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ভলেন রায় প্রমুখ।
ময়নাগুড়ি ব্লক প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মূলত গ্রামীণ গরিব পরিবারের মহিলাগুলিকে স্বনির্ভর করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুপ্রেরণায় এই কর্মসূচি নেওয়া হয়। শুক্রবার ময়নাগুড়ি ব্লকের একশো জন মহিলা উপভোক্তাকে ছাগল বিতরণ করা হয়। এদিন প্রত্যেক উপভোক্তাকে একটি করে ছাগল দেওয়া হয়। ময়নাগুড়ির সাপ্টিবাড়ি এলাকার উপভোক্তা অমৃতা সিংহ বলেন , ' ব্লক প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগের পক্ষ থেকে ছাগল পেয়ে আমি খুবই খুশি। এটি সঠিকভাবে প্রতিপালন করতে পারলে অনেকটাই স্বনির্ভর হতে পারব।' একই কথা বলেন উপভোক্তা মায়া রায় , লক্ষী সরকার ও বিমলা রায়।
আরও পড়ুনঃ বাজরার ইতিকথা! বাজরা উৎপাদনে ভারত কতটা এগিয়ে? ভবিষ্যৎ কী?
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ অজয় মল্লিক বলেন,' গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় ছাগল বিতরণ করা হচ্ছে। আজকে একশো জন উপভোক্তাকে ছাগল বিতরণ করা হল। ' ময়নাগুড়ি বিএলডিও কোন্দা মুর্মু বলেন, ' ময়নাগুড়ির গ্রামীণ এলাকার গরিব পরিবারগুলির কৃষিকাজের পাশাপাশি পশুপালন একটি অন্যতম পেশা । তারা যাতে পশুপালন করে স্বনির্ভর হতে পারে সেই লক্ষ্যে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় কৃষির ভবিষ্যৎ - 'ডিজিটাল ফার্মিং'