এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 20 October, 2022 4:45 PM IST

কৃষিজাগরন ডেস্কঃ কেঁচো সার (Vermicompost fertilizer) একটি জৈব সার যা জমির উর্বরতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয় । ১ মাসের বাসী গোবর বা তরকারির ফেলে দেওয়া অংশ,ফলমূলের খোসা,উদ্ভিদের লতাপাতা,হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, ছোট ছোট করে কাটা খড়কুটো খেয়ে কেঁচো মল ত্যাগ করে এবং এর সাথে কেঁচোর দেহ থেকে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ বের হয়ে যে সার তৈরি হয় তাঁকে কেঁচো কম্পোস্ট বা ভার্মি কম্পোস্ট বলা হয়। এ সার সব ধরনের ফসল ক্ষেতে ব্যবহার করা যায়। এটি পৃথিবীতে অধিক ব্যাবহৃত জৈব সারের অন্যতম,পরিবেশবান্ধব সার।

কেঁচো সার তৈরির পদ্ধতি

(১) কেঁচো কম্পোষ্ট তৈরি করতে হলে প্রথমে গর্তের তৈরি করতে হয়। এরপর এসব গর্তে ঘাস, আমের পাতা বা খামারের ফেলে দেয়া অংশ এসবের যেকোনো একটি ছোট ছোট করে কেটে এর প্রায় ২৫ কেজি হিসেবে নিতে হয়।

আরও পড়ুনঃ এই জাতের মহিষ 700 থেকে 1200 লিটার দুধ দেয়, যা দুধ উৎপাদনকারীদের জন্য বাম্পার আয়

(২) তবে এসব আবর্জনা গর্তে ফেলার আগে গর্তের তলদেশসহ চারপাশে পলিথিন দিয়ে মুড়ে দিতে হবে। এতে গর্তের কেঁচো পিট থেকে বাইরে যেতে পারবে না।

(৩) কেচোঁ কম্পোস্ট তৈরির জন্য প্রথমেই পলিথিন বিছানোর পরে গর্তের নিচে ৬ ইঞ্চি পুরু করে বেড বানাতে হবে। এই বেড তৈরির জন্য ভালো মাটি ও ও গোবর সমপরিমাণে মিশাতে হবে এবং এসব মিশানো গাবর ও মাটি পরে কেঁচোর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

(৪) সাধারণত এসব কম্পোস্ট তৈরির কাজে দুই ধরণের কেঁচোর জাত রয়েছে। তা হলো- এপিজিক  ও এন্ডোজিক  নামের। এপিজিক জাতগুলো দেখতে লাল রঙের। এরা মাটির উপরের স্তরেই বিচরণ করে থাকে। অপরদিকে  এন্ডোজিক  জাতগুলো প্রধানত ছাই রঙের হয়ে থাকে। এরা সাধারণত সার উৎপাদন করতে পারে না তবে এরা মাটির ভৌত ও জৈব গুণাবলির উন্নতি করতে পারে।

(৫) কেঁচো কম্পোষ্ট (Organic fertilizer) তৈরির জন্য গর্ত গোবর ও মাটি দিয়ে ভর্তি করার পর ২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১ মিটার প্রস্থ মাপের পিটে ৫০০ টি কেঁচো প্রয়োগ করতে হয়। কেঁচো প্রয়োগের পর ২ ইঞ্চি জৈব সার এবং তার উপর ৪ ইঞ্চি কাঁচা পাতা দিতে হবে। গর্তের উপরিভাগ পাটের ভিজানো চট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং প্রতিদিন ২ বার জল  ছিটিয়ে দিতে হবে। কাঁচা পাতা কালো বর্ণ ধারণ করলে জল দেওয়া  বন্ধ করতে হবে। ৪ সপ্তাহ পরে পুণরায় কাঁচা পাতা দিতে হবে এবং চট দিয়ে ঢেঁকে ভিজাতে হবে। এবার ৪ দিন পর পর কাঁচা পাতা দিতে হবে। ৬ সপ্তাহ পরে নেটে চেলে কেঁচো আলাদা করে সার ব্যবহার বা বাজারজাত করা যাবে। কেঁচো সারের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য গর্তের উপরিভাগে ছায়া প্রদানের ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি। তাছাড়া মাটি এবং তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে কেঁচো মারা যেতে পারে বলে কেঁচো উৎপাদনে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ Profitable Fish Farming: মাছ চাষের অভিনব পদ্ধতি,শিখে নিলে লাভ হবে দ্বিগুন

(৬) এসব কেঁচো যে সব খাবার খায় তা গর্তে নিয়মিত ভাবে সরবরাহ করতে হবে। কেঁচোর খাবারের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় ঘাস, খামারজাত পদার্থ, আঁখের ও কলার ফেলে দেয়া অংশ ইত্যাদি।

(৭) সার তৈরি হওয়ার পর চৌবাচ্চা হতে সতর্কতার সাথে কম্পোস্ট তুলে চালুনি দিয়ে চালতে হবে। সার আলাদা করে কেঁচোগুলো পুনরায় কম্পোস্ট তৈরির কাজে ব্যবহার করতে হবে।

(৮) কেঁচো সার বাজারের চাহিদা অনুযায়ী/ নিজস্ব ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট সাইজের প্যাকেট/বস্তা ভর্তি করে রাখা যেতে পারে।

English Summary: Do you make earthworm fertilizer? Know the simple method
Published on: 20 October 2022, 04:45 IST