একথা সকলের জানা যে আমাদের দেশে আমিষের অভাব অত্যন্ত প্রকট। মাছ,মাংস ,দুধ ও ডিম কোনটাই আমরা পর্যাপ্ত পরিমানে পাই না। অতচ আমিষের প্রয়োজন সকলেরই। বিশেষ করে শিশুদের বুদ্ধি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমিষ অনিবার্য। হাঁস-মুরগীর ডিম থেকেই পর্যপ্ত পরিমানে পুষ্টি পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গের মাটি,আবহাওয়া হাঁস পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।অল্প পরিশ্রমে অনায়াসে হাঁস-মুরগী পালন করা যায়।একটু যত্ন করলেই ছোটো আকারে খামার গড়ে তুলতে পারলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে খুব সহজেই বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব।ব্যবসায়িক ভাবে সফল হতে গেলে প্রথমেই বেছে নিতে হবে সঠিক জাতের হাঁস।
হাঁসের জাত ও বৈশিষ্ট্য
পিকিং
উৎপত্তিস্থান চীন
গায়ের রং সাদা
ডিমের জন্য ভালো
গড়ে ১৫০- ১৬০ টি ডিম দেয়।
ওজন ৪ – ৪.৫ কেজি
মাসকোভি
আকারে বড়, মাংসের জন্য ব্যবহার করা হয়।
ওজন ৬-৭ কেজি হয়।
ডিম উৎপাদন ৮০-১০০টি।
ইন্ডিয়ান রানার
উৎপত্তি স্থান ভারত হলেও পৃথিবীর সর্বত্র পাওয়া যায়। সাদা রংয়ের হাঁস। ওজন ১.৫-২ কেজি।
আরও উন্নত শংকর জাতের হাঁস আছে। ভিয়েতনামের চেরীভ্যালি জাত ডিম ও মাংসের জন্য পৃথক ভাবে উদ্ভাবন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হাঁস পালন কতটা লাভজনক? জানলে চমকে যাবেন
হাঁসের বাসস্থান ও তার প্রকার ভেদ
গৃহপালিত পাখিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে রক্ষা করে আরাম ও নিরাপদ স্থানে বাসস্থান দেয়াই গৃহস্বামীর লক্ষ্য। হাঁস খুব বেশী গরম ও খুব বেশী ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। হাঁসের ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে বেশী খারচ না করে সীমিত খরচের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিৎ। আবার বাসস্থান নির্মাণ করতে গিয়ে এমন নড়বরে ঘর রাখা উচিৎ নয় যাতে শিয়াল, বাউরাল নেউল, চিকা, ইদুর ইত্যাদি হাঁস ও হাঁসের বাচ্চার ঘরে প্রবেশ করে ক্ষতি করতে পারে। হাঁসের ঘর নির্মাণের প্রাক্কালে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির প্রতি লক্ষ্য রাখা দরকার।
১। জায়গা নির্বাচণ
হাঁসের ঘরের জন্য সাধারণত: খোলা, উচু ও রৌদ্র থাকে এমন জায়গা বাছাই করা উচিৎ। বালু মাটি, ড্রেন কাটার সুবিধা আছে এবং ঘাস জন্মাতে না পারে এমন জায়গা নির্বাচন করা উত্তম। ঘরের সংগে বড় গাছ বা জংগল থাকা উচিত নয়। মুরগীর খামারের সন্নিকটে হাঁসের ঘরের জায়গা নির্বাচন করা ঠিক নয়।
আরও পড়ুনঃ হাট থেকে গরু কিনে ঠকে যান বার বার? রইল ভাল দুধাল গাভী চেনের কিছু গোপন টিপস
২। ঘরের নমুনা
কি নমুনার ঘর কত হাঁস পালন করা হবে ইত্যাদি চিন্তা ভাবনা করে ঘর তৈরী করতে হবে। অল্প হাঁসের জন্য ছোট ঘর এবং বেশী হাঁসের জন্য বড় স্থায়ী ঘর তৈরী করাই ভাল। লম্বা, সরু এবং চারকোণা ঘর তৈরী করা উচিত। গ্রামীন পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পারিপার্শিক অবস্থার বিষয় চিন্তা ভাবনা করে ঘরের চালা নির্বাচন করতে হবে। গোল টাইপ।
১। সেড টাইপ ২। গেবল টাইপ ৩। সেমি গেবল টাইপ ৪। মনিটর টাইপ ৫। সেমি মনিটর টাইপ ৬।গোল টাইপ।