এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 10 July, 2021 4:07 PM IST
Rural fishing (Image Credit - Google)

অস্তিত্ব হুমকির মুখে এমন একটি মাছের নাম “নয়না”। অনেকেই এই মাছের নামটি ভুলতে বসেছেন। স্বাদে অতুলনীয় মাছটি স্থানীয়ভাবে নয়না মাছ নামে পরিচিত। এসময় বিভিন্ন জলাশয়ে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া গেলেও বর্তমানে অস্তিত্ব হুমকির মুখে। তবে মেনি বা ভেদা বা রয়না নামেও কোথাও কোথাও পরিচিত এই মাছটি ।   

খাল-বিল, হাওর-বাওড় এবং নদীতে এদের বসবাস। নয়না মাছ জলাশয়ে জলের তলদেশে কর্দমাক্ত পরিবেশে বাস করতে পছন্দ করে। বর্ষার সময় ধানেক্ষেত বা মুক্ত জলাশয়ে কখনো কখনো এদের দেখা যায়। আবার শীতের সময় এদের জলাশয়ের আগাছাপূর্ণ তলদেশে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

এক সময়ে দেশের জলাশয়ে সুস্বাদু নয়না মাছ পাওয়া গেলেও এখন তা চোখে পড়ে না বললেই চলে। বিভিন্ন ভাবে মানবসৃষ্ট এবং প্রাকৃতিক কারণে নয়না  মাছ দেশের জলাশয় হতে প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে।

নয়না মাছ একটি মাংসল মাছ খেতে খুব সু-স্বাদু । তবে এদের কোনো চর্বি নেই।   নয়না  মাছের বৈজ্ঞানিক নাম  নাদুস নাদুস । দেহ পার্শ্বীয়ভাবে চাপা ও দেহের দু’পাশে তিনটি করে হলুদ-সবুজাভাব ডোরা বিদ্যমান।  মুখ বড় এ মাছটির দেহের রং কালচে সবুজ। এর লেজ বা পুচ্ছ পাখনা গোলাকার। আকারে সর্বোচ্চ প্রায় ১৮ সে.মি. লম্বা হয়ে থাকে। অনেকটা কই মাছের মত দেখতে । এ মাছের খাদ্যাভ্যাস মাংশাসী ধরনের এবং খাদ্য হিসেবে এরা সাধারণত জলজ পোকামাকড়, অন্য ছোট আকারের মাছ গ্রহণ করে থাকে। মাছটির বাহ্যিক রূপ অনেকের কাছে খুব একটা পছন্দ না হলেও খেতে বেশ সুস্বাদু  ।

অন্যান্য অনেক দেশী মাছের মত এই মাছটিও হারিয়ে যাচ্ছে এবং এ মাছটি  বিপন্ন মৎস্য প্রজাতির মধ্যে অন্যতম।  তবে মাছ চাষিরা এই মাছ চাষে এবং প্রজননে প্রশিক্ষন নিয়ে এই মাছের বাণিজ্যিক চাষ করতে পারেন।

এ মাছের পোনা পুকুরে ছয় মাস বয়সে এর ওজন হবে প্রায় ৪০০ গ্রাম। এ মাছ চাষ করে লাভবান হবেন চাষীরা। বর্তমানে এ মাছের বাজার দর প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। নয়না  ছোট প্রজাতির মাছ হওয়ায় অন্যান্য ছোট মাছে যেসব পুষ্টিগুণ রয়েছে তার প্রায় সব পুষ্টিই এতে রয়েছে। 

এই মাছটি ছাড়াও আরও একটি মাছ রয়েছে, যা সহজেই চাষ করে অর্থোপার্জন করা যায়।

বেলে মাছ - 

গ্রাম বাংলায় অতি পরিচিত মাছ হল ‘বেলে মাছ’। পুকুরে জাল টানলে প্রায়শই উঠে আসে এই মাছ। তবে বাণিজ্যিক ভাবে এই মাছের তেমন চাষ না হলেও খাদ্য মাছ হিসেবে ভাল পরিচিতি আছে। তবে এটাও ঠিক এই মাছের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে হুগলী নদীর মোহনা এই মাছ মৎস্য সম্পদের একটা অপ্রধান অংশ। এই প্রজাতির মাছ ৩০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। এ মাছের কাঁটা কম থাকায় এবং খেতে সুস্বাদু বলে লোকজন খেতে খুব পছন্দ করে। নোনা ও মিস্টি উভয় জলাশয়ে থাকতে পারে।

বেলে মাছের বৈজ্ঞানিক নাম গ্লোসোগোবিয়াস গিউরিস। ইংরেজী নাম গোবি। লম্বাটে দেহবিশিষ্ট এ মাছটির দেহের বর্ণ ঈষৎ হলদেটে বা পীত-ধূসর বর্ণের। পরিবেশের কারণে দেহের বর্ণ হালকা বা গাঢ় হয়ে থাকে। এর মুখ কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী এবং উভয় চোয়ালে দাঁত থাকে। মাথায় ও পৃষ্ঠ পাখনার সামনের অংশে কোন আঁশ থাকে না। আকারে প্রায় ৩০ সে.মি. পর্যন্ত হতে পারে। তবে বর্ষার সময় চলন বিলে যেসকল বেলে মাছ ধরা পড়ে তার বেশীর ভাগই অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের।

এ মাছ নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়-বাওড়সহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিজলে  জলাশয়ে ও ঈষৎ লবণাক্ত জলে  বাস করে। পাথুরে বা বালিময় তলযুক্ত জলাশয় এদের অধিক পছন্দ। বেলে মাছ স্বভাবে মাংসাশী এবং খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন বয়সের মাছ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। এদের খাদ্য তালিকায় ছোট মাছ, শামুক, পোকামাকড় ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। অনেক সময় বিশেষত খাদ্য সংকটের সময় এরা অন্য বেলে মাছও খেয়ে থাকে।

আরও পড়ুন - Increase Fish Production - মাছের ফলন কম হচ্ছে? ফলন বৃদ্ধিতে সমাধান জানালেন সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. প্রতাপ কুমার মুখোপাধ্যায়

বেলে মাছ সাধারণত মে হতে অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রজনন করে। বর্ষার সময় চলন বিল এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ে। এ মাছের বাজার চাহিদা বেশ উচ্চ। তবে অ্যাকুয়ারিয়ামে শৌখিন মাছ হিসেবে বর্তমানে পরিচিতি ঘটছে।

আরও পড়ুন - Poultry Framing - জেনে নিন মুরগির উন্নত জাত ও তার পালন পদ্ধতি সম্পর্কে

English Summary: Earn more by farming endangered fish, know the procedure
Published on: 10 July 2021, 01:57 IST