দেশি জাতের গরু দিয়েই লাভজনক খামার ব্যবসা গড়ে তোলা যায় | অনেক নতুন এবং তরুণ উদ্যোক্তা আছেন যারা গরু পালনে খুব উৎসাহী এবং গরুর খামার ব্যবসায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান তাদের জন্য এই ব্যবসাটি হতে পারে প্রারম্ভিক অথবা বিশেষায়িত লাভজনক একটি ব্যবসা | তবে গ্রামে যাদের কৃষি জমি আছে এবং যারা যথেষ্ট কাঁচা ঘাসের জোগান দিতে পারবেন গরুকে তারা এই বাসাটি চোখ বন্ধ করে হাতে নিতে পারেন।
গরু পালন পদ্ধতি
গাভী গুলি যাতে বছর বিয়ানো হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। এই জাতীয় গাভীর দৈনিক সর্বোচ্চ ২ কেজি দানাদার খাদ্য লাগতে পারে। কোনোটা হয়তো একটু কম খাবে কোনোটা হয়তো একটু বেশী। তবে এদের পর্যাপ্ত ঘাস আর খড় দিতে হবে যেগুলি শ্রম আর কৃষিজ ফসল থেকেই পাওয়া যাবে অথবা ১ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের ঘাস চাষ করে নেওয়া যেতে পারে |
আরও পড়ুনঃ কিভাবে পশুদের কৃত্রিম প্রজনন করতে হয়?
খাওয়ার পরিমাণ
গরুকে দেহের ওজন অনুপাতে দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। উপরের দানাদার মিশ্রণটি গরুর ওজনের শতকরা ০.৮-১ ভাগ পরিমান সরবরাহ করলেই চলবে। দানাদার মিশ্রণটি একবারে না খাইয়ে ভাগ ভাগ করে সকালে এবং বিকালে খাওয়াতে হবে। গরুকে পর্যান্ত পরিমাণে পরিষ্কার খাওয়ার পানি সরবরাহ করতে হবে। কোনোভাবেই বাসি পানি, পচা বাসি খাবার মেশানো পানি, পুকুর, ডোবা বা নদীর পানি খাওয়ানো যাবে ন।
বাছুরের পরিচর্যা
চালের গুঁড়া ৩০০ গ্রাম; গমের ভুসি ৩০০ গ্রাম; খৈল ২৫০ গ্রাম; চিটাগুড় ১৫০ গ্রাম; লবণ ও ভিটামিন ৫০ গ্রাম।এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে খড়, কাঁচাঘাস ও বিশুদ্ধ ঠাণ্ডা পানি খাওয়াতে হবে। ছয় মাস বয়সে বাছুরকে সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে। বাছুরকে কৃমির ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ মতে দিতে হবে। স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে সুষম খাদ্য দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ডেইরি ফার্মিং ব্যবসা শুরু করতে সরকার ২৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে
স্থান নির্বাচন
যেখানে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো এবং দুধ বিক্রির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে এসব এলাকার আশপাশেই ডেইরি ফার্ম গড়ে তোলা প্রয়োজন। চারপাশে উঁচু দেয়াল, পরিবেশসম্মত আবাসন, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস এবং গরুর বিশ্রাম ও হাঁটাচলার জন্য জায়গা থাকতে হবে। গরুর ওষুধের দোকান, কাঁচা ঘাসের খামার আশপাশে থাকলে ভালো।