কোলোস্ট্রামের গুণগত মান মূল্যায়ন এবং এতে উপস্থিত ইমিনোগ্লোবিউলিনের পরিমান নির্নয় করা সদ্যজাত বাছুরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ও রোগমুক্ত রাখতে খুবই প্রয়োজন। আমরা নিম্নলিখিত যন্ত্রগুলির সাহায্যে খুব সহজেই গোখামারে বসে দ্রুত ও সস্তায়, কোলোস্ট্রামের গুণগত মান মূল্যায়ন ও কোলোস্ট্রামে উপস্থিত ইমিনোগ্লোবিউলিন এর পরিমাপ করে নিতে পারি।
(১) ব্রিক্স রিফ্রাক্টোমিটার – ব্রিক্স মিটার একটি সস্তা যন্ত্র যার দ্বারা অতি সহজে কোলোস্ট্রোমে ইমিউনোগ্লোবিউলিনের পরিমান জানা যায়। আলোর প্রতিফলনকে কাজে লাগিয়ে ব্রিক্স মিটারটি তৈরি করেন। প্রথমে ব্রিক্স মিটারকে পরিশুদ্ধ জল দিয়ে ০% ব্রিক্স-এ ক্রমাঙ্কে নির্দিষ্ট করতে হয়। এক ফোটা কোলোস্ট্রোমই যথেষ্ট ইমিউনোগ্লোবিউলিনের পরিমান জানার জন্য যা গোয়ালে দাঁড়িয়ে করা সম্ভব। সাধারণত, কোলোস্ট্রোমের ব্রিক্স ভ্যালু ২২% মানেই কোলোস্ট্রোমএ প্রায় ৫০ মিলিগ্রাম / মিলিলিটার ইমিউনোগ্লোবিউলিন আছে।
(২) কোলোস্ট্রোমিটার – এটি হাইগ্রোমিটারের মতো একটি যন্ত্র যা কোলোস্ট্রামে ইমিনোগ্লোবিউলিন এর পরিমাপ দেয়। এটি মিলিগ্রাম/ মিলিলিটার স্কেলে তৈরি যা লাল, হলুদ ও সবুজ রং দ্বারা চিহ্নিত করা। কোলোস্ট্রোমিটারকে ২৫০ মিলি কোলোস্ট্রাম ভর্তি সিলিন্ডারে ছেড়ে দিয়ে এক মিনিট অপেক্ষা করে পরিমাপ নিতে হবে। যদি কোলোস্ট্রোমিটার লাল রঙ পর্যন্ত কোলোস্ট্রোমে ডুবে থাকে তাহলে ইমিউনোগ্লোবিউলিনের পরিমান ২০ মিলিগ্রাম / মিলিলিটার কম হয়; হলুদ দাগ পর্যন্ত ডোবে তাহলে কোলোস্ট্রোমে ইমিউনোগ্লোবিউলিনের পরিমান ৫০ মিলিগ্রাম / মিলিলিটার বেশি হয়। কিন্তু এই যন্ত্রের প্রধান সীমাবদ্ধতা হল পরিমাপ অবশ্যই ঘরের তাপমাত্রায় (২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট) নিতে হবে।
তথ্যসূত্র : ড. সন্তু মন্ডল, রাষ্ট্রীয় ডেয়ারী অনুসন্ধান সংস্থান (কার্নাল, হরিয়ানা)
রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)