কৃষিজাগরন ডেস্কঃ প্রতিদিন কৃষি খাতে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। সম্প্রতি গির জাতের একটি ক্লোন করা গাভী তৈরি করে বিশ্বজুড়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বিজ্ঞানীরা । আসলে, কর্নালের ন্যাশনাল ডেইরি রিসার্চ ইনস্টিটিউট উত্তরাখণ্ড লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট বোর্ড দেরাদুনের সহযোগিতায় গির এবং লাল-সিন্ধির মতো গরুর ক্লোনিংয়ের কাজ শুরু করেছে।২০২১ সালে এর কাজ শুরু হয়। ১৬ মার্চ, বিজ্ঞানীরা গির জাতের একটি ক্লোন বাছুরের জন্ম দিতে সক্ষম হন। তবে তাঁরা সাহিওয়াল ও লাল-সিন্ধি জাতের গরু ক্লোন করতে পারেনি। এখন প্রশ্ন উঠেছে এই ক্লোন প্রযুক্তি থেকে কৃষক ও দুগ্ধ খামারীরা কীভাবে উপকৃত হবেন। তো চলুন জেনে নিই।
আরও পড়ুনঃ মাছ চাষে ব্যয় সংকোচনেই কৃষকের আয় বৃদ্ধি-দ্বিতীয় পর্ব
ক্লোনিং প্রযুক্তির মাধ্যমে এক জীব থেকে অন্য জীব প্রস্তুত করা হয়। ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট জীবগুলো হুবহু মূল জীবের মতো। তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না ।ক্লোন প্রযুক্তির সাহায্যে গির জাতের ক্লোন করা গাভী প্রস্তুত করতে বিজ্ঞানীদের প্রায় দুই বছর সময় লেগেছে বলে জানা গেছে ।এ সময় তাঁদের অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। প্রথমে শুরু হয় মহিষের ক্লোনিং। পরে, বিজ্ঞানীরা একটি গরুর ক্লোন করার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুনঃ মাছ চাষে ব্যয় সংকোচনেই কৃষকের আয় বৃদ্ধি-পর্ব এক
কিভাবে ক্লোনিং করা হয় ?
সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন যে ক্লোন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাণী তৈরি করতে সোমাটিক কোষের প্রয়োজন হয়।গির গরুর ক্লোন করার জন্য, বিজ্ঞানীদের প্রথমে গরুর শরীর থেকে সোমাটিক কোষ বের করে ল্যাবে কালচার করতে হয়েছিল। এর পর প্রাণী থেকে ডিম্বাণু আলাদা করা হয়। যার জন্য একটি সুই প্রয়োজন ছিল। এরপর কোষ ও ডিম্বাণু থেকে ভ্রূণ তৈরি হয়। যা প্রায় এক সপ্তাহ সময় নেয়। এর পরে , উন্নত ভ্রূণটিকে সারোগেট মাদার (গরু) ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। নয় মাস পর গির গাভীর একটি ক্লোন বাছুর জন্ম নেয়।
দুগ্ধ খামারের সুবিধা
ক্লোন প্রযুক্তির মাধ্যমে দুগ্ধ খামারকে অনেকাংশে উন্নীত করা যাবে। এই আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নত জাতের পশু উৎপাদনে সাফল্য পাওয়া যাবে। যা দুধ উৎপাদনেও প্রভাব ফেলবে। যা বিক্রি করে কৃষকরা তাদের আয় বাড়াতে পারবে।জানিয়ে রাখি, বিজ্ঞানীদের তৈরি গরুর জাতটি প্রতিদিন ১৫ লিটার পর্যন্ত দুধ দিচ্ছে। একইভাবে, ক্লোন প্রযুক্তি আগামী দিনে কৃষকদের জন্য অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হবে।