কৃষিজাগরন ডেস্কঃ আজ, সরকার ভারতে দুধ উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মনোবল বাড়াচ্ছে। আজ, ভারতে পশুপালনের ক্ষেত্রে,গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।এর প্রধান কারণ সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতা। ভারতে দুধ উৎপাদনের জন্য গরু ও মহিষ ব্যবহার করা হয় ।যা পালন করে গবাদি পশু পালনকারীরা শুধু লাভবানই হয় না, আয়ের একটি নির্দিষ্ট উৎসও পায়। এসব প্রাণীর কোনো রোগ হলেই সমস্যা হয়। তাহলে চলুন আজ জেনে নিই কোন কোন বড় রোগের কারণে পশুর সমস্যা হয়।
গলদা রোগ
গলদা চর্মরোগ আজ গবাদি পশুর সবচেয়ে সাধারণ রোগ। এই রোগের জন্য সরকার অনেক ধরনের সতর্কতা জারি করেছে। এর পাশাপাশি সর্বত্র চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে নানা আয়োজন।
আরও পড়ুনঃ গোলাপ চাষে বাড়তি লাভ, শিখে নিলেই কেল্লাফতে!
রোগের লক্ষণ
এ রোগে পশুর শরীরে মোটা পিণ্ড বের হয়। গবাদি পশুর এই সংক্রামক রোগটি একটি ভাইরাস দ্বারা হয়। এই ভাইরাসের নাম নিথলিং ভাইরাস। এই ভাইরাসের কারণে পশুদের সারা শরীরে পিণ্ড দেখা দেয়।
চিকিৎসা
এর জন্য রোগে আক্রান্ত পশুকে অন্যান্য পশু থেকে দূরে রাখতে পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ভালো ব্যবস্থা করতে হবে। গবাদি পশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ক্লোন প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হবে,জানুন কী এই ক্লোন পদ্ধতি
খোঁড়া জ্বর
যখন প্রাণীর এই জ্বর হয়, তখন প্রাণীটির ১০৬ ডিগ্রি থেকে ১০৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হয়। পশুদের ক্ষেত্রে ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সের পশুদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়।
উপসর্গ
পশুদের খুব জ্বর হয়। পশু খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করার পাশাপাশি অলস হয়ে পড়ে। পশুদের পায়ে প্রচুর ফোলাভাব দেখা দেয় এবং পশু ঠোঁট দিয়ে হাঁটা শুরু করে বা বসে পড়ে।
চিকিৎসা
এর চিকিৎসার জন্য পশুদের টিকা দিতে হবে। বর্ষার আগে এই টিকা দিতে হবে। এই ভ্যাকসিনগুলি 06 মাস বয়সেও প্রাণীদের দেওয়া যেতে পারে।