ভুট্টা ফসলে এই সার ব্যবহার করুন, কম খরচে ভালো ফলন পাবেন, সম্পূর্ণ বিবরণ জানুন ভুট্টা ফসলে এই সার ব্যবহার করুন, কম খরচে ভালো ফলন পাবেন, সম্পূর্ণ বিবরণ জানুন ২০২৫ সালে কাঁচা মরিচ চাষে লাভের বন্যা: কম খরচে শুরু করুন আজই! ২০২৫ সালে কাঁচা মরিচ চাষে লাভের বন্যা: কম খরচে শুরু করুন আজই! হাইব্রিড বনাম দেশি বীজ: কোনটি ভালো? একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ হাইব্রিড বনাম দেশি বীজ: কোনটি ভালো? একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ
Updated on: 14 September, 2021 1:44 PM IST
Fish disease treatments
Fish disease treatments (image credit- Google)

মাছ চাষ যেমন লাভজনক তেমন মাছের নানাবিধ রোগ কৃষকদের সমস্যার মুখে ফেলে | নানা কারণে উন্মুক্ত জলাশয়ের চেয়ে বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা মাছে রোগাক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। তাই পুকুর-দীঘির মাছকে প্রায়ই নানান রোগের কবলে পড়তে দেখা যায়। পুকুর-দীঘিতে সচরাচর যেসব রোগে মাছ আক্রান্ত হতে পারে, এ ধরনের কয়েকটি সম্ভাব্য রোগ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে এই নিবন্ধে আলোচনা করা হলো |

মাছের ক্ষত রোগ:

এ রোগে সাধারণত শোল, গজার, টাকি, পুঁটি, বাইন, কৈ, মেনি, ম্রিগেল, কার্পিও এবং পুকুরতলায় বসবাসকারী অন্যান্য প্রজাতির মাছ আক্রান্ত হয়ে থাকে। আক্রান্ত মাছের গায়ে ক্ষত বা ঘাজনিত লাল দাগ দেখা যায়। এই দাগের আকৃতি ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ঘায়ের স্খানে চাপ দিলে কখনো কখনো পুঁজও বের হতে পারে। ঘা মাছের লেজের গোড়া, পিঠ ও মুখের দিকেই বেশি হয়ে থাকে।

প্রতিকার:

১) রোগাক্রান্ত মাছ পুকুর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে তুলে ফেলতে হবে। ১০ লিটার জলে ১০০ গ্রাম লবণ গুলে লবণমিশ্রিত পানিতে রোগাক্রান্ত মাছ পাঁচ থেকে দশ মিনিট ডুবিয়ে রেখে অত:পর পুকুরে ছেড়ে দিতে হবে।

২) ক্ষত রোগে আক্রমণের আগেই প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শেষে কিংবা কার্তিক মাসের প্রথম দিকে পুকুরে শতাংশ প্রতি ১ কেজি হারে পাথুরে চুন ও ১ কেজি হারে লবণ প্রয়োগ করা হলে সাধারণত আসন্ন শীত মৌসুমে ক্ষত রোগের কবল থেকে মাছ মুক্ত থাকে।

৩) বিশেষজ্ঞ সূত্র থেকে জানা যায়, এ রোগ নিরাময়ের জন্য ০.০১ পিপিএম চুন ও ০.০১ পিপিএম লবণ অথবা ৭-৮ ফুট গভীরতায় প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে পাথুরে চুন ও ১ কেজি হারে লবণ প্রয়োগ করা হলে আক্রান্ত মাছ দুই সপ্তাহের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করে।

আরও পড়ুন -Thai Sharpunti fish farming: কিভাবে করবেন থাই সরপুঁটি মাছের চাষ? শিখে নিন পদ্ধতি

মাছের পেট ফোলা রোগ:

এ রোগে সাধারণত রুইজাতীয় মাছ, শিং-মাগুর ও পাঙ্গাশ মাছ আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ রোগে মাছের দেহের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। পেটে পানি জমার কারণে পেট ফুলে যায়। মাছ ভারসাম্যহীনভাবে চলাফেরা করে। বেশিরভাগ সময়ই পানির ওপর ভেসে ওঠে এবং খাবি খায়। আক্রান্ত মাছ অতি দ্রুত মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে থাকে।

প্রতিকার:

১) প্রথমত খালি সিরিঞ্জ দিয়ে মাছের পেটের পানি বের করে নিতে হবে। অত:পর প্রতি কেজি মাছের জন্য ২৫ মিলিগ্রাম হারে ক্লোরেম ফেনিকল ইনজেকশন দিতে হবে অথবা প্রতি কেজি সম্পূরক খাবারের সাথে ২০০ মিলিগ্রাম ক্লোরেম ফেনিকল পাউডার মিশিয়ে মাছকে খাওয়াতে হবে।

২) প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে পাথুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাছের খাদ্যের সাথে ফিসমিল ব্যবহার করা একান্তই অপরিহার্য।

৩) এ ছাড়া পুকুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনসহ মাছকে নিয়মিত সুষম খাদ্য প্রদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

পাখনা অথবা লেজপচা রোগ:

এ রোগে সাধারণত রুইজাতীয় মাছ, শিং-মাগুর ও পাঙ্গাশ মাছ আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে পিঠের পাখনা এবং ক্রমান্বয়ে অন্যান্য পাখনাও আক্রান্ত হয়। কোনো কোনো মৎস্যবিজ্ঞানীর অভিমত, অ্যারোমোনাডস ও মিক্সোব্যাকটার গ্রুপের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। পানির ক্ষার স্বল্পতা ও পি-এইচ ঘাটতি দেখা দিলেও এ রোগের উৎপত্তি হতে পারে।

প্রতিকার:

১) ০.৫ পিপিএম পটাশযুক্ত পানিতে আক্রান্ত মাছকে ৩ থেকে ৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। পুকুরে সাময়িকভাবে সার প্রয়োগ বìধ রাখতে হবে।

২) এ ছাড়া রোগ-জীবাণু ধ্বংসের পর মজুদকৃত মাছের সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে হবে। এ অবস্খায় প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে পাথুরে চুন প্রয়োগ করা অতি জরুরি।

মাছের উকুন রোগ:

এ রোগে সাধারণত রুই মাছ, কখনো কখনো কাতল মাছও আক্রান্ত হতে পারে। গ্রীষ্মকালে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এ রোগে মাছের সারা দেহে উকুন ছড়িয়ে দেহের রস শোষণ করে মাছকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। এতে মাছ ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে মারা যায়।

প্রতিকার:

শতকরা আড়াই ভাগ লবণ দ্রবণে কিছু সময় আক্রান্ত মাছ ডুবিয়ে রাখলে উকুনগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়বে। এমতাবস্খায় হাত কিংবা চিমটা দিয়ে উকুনগুলো মাছের শরীর থেকে তুলে ফেলতে হবে।

আরও পড়ুন -Pomelo cultivation guide: জেনে নিন বাতাবি লেবু চাষের সহজ পদ্ধতি

English Summary: Fish disease treatments: Take a look at the remedies for various diseases of fish farming
Published on: 14 September 2021, 01:44 IST