কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ২২শে মার্চ ২০২৩ বুধবার বিশ্ব জল দিবসের দিন নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লক মৎস্য বিভাগের কার্যালয়ে থেকে মাছ ধরা, মাছ বিক্রি, মাছ চাষে যুক্ত মৎস্য পেশায় যুক্ত মানুষজনের হাতে মৎস্যজীবী নিবন্ধীকরণ কার্ড তুলে দেওয়া হয় । ফিশারমেন রেজিস্ট্রেশান কার্ড বিতরন সভায় উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মুক্তিরানী মাইতি, মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি , মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু।
মৎস্যজীবী নিবন্ধীকরণ কার্ড বিতরন কর্মসূচী সভায় দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প বিষয়ে জানান ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু। প্রসঙ্গত বিগত দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন জানিয়েছিল এই সব মাছ চাষি ও বিক্রেতারা।
সেই সমস্ত আবেদন কারিদের হাতে আজ কার্ড তুলে দেওয়া হল। তাদের মধ্যে কার্ড নিতে এসেছে বলরাম দেবনাথ, সোলেমান খান, রেজ্জাক ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ধাপর, সেখ কলিমুদ্দিন, সেখ নাজিমুদ্দিন, সাহালাম খান, ঝুম্পা দেবনাথ, অনিতা দেবনাথ প্রমুখরা ।
কর্মসূচীর উদ্বোধনী দিনে যারা মৎস্যজীবি নিবন্ধীকরন কার্ড পেয়েছেন, তাদের একজন সাউদখালি চরের রবীন্দ্রনাথ ধাপর । কীভাবে এই কার্ড পেলেন, তা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন যে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন জানিয়েছিলাম তারপর এই কারড পেলাম। সাউদখালি চরের রবীন্দ্রনাথ ধাপর হাত নৌকা নিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি মৎস্যজীবি নিবন্ধীকরন কার্ড পেয়ে খুব খুশি।
আরও পড়ুনঃ নেই পর্যাপ্ত হিমঘর অন্যদিকে ঝোরো বৃষ্টি, দুইয়ের সাড়াশি চাপে বিপাকে কৃষকরা
মাছ বিক্রেতা নীল কুমার দেবনাথ ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রি করেন। দুয়ারে সুরকার ক্যাম্পে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনিও কার্ড পেয়ে খুশি। নন্দীগ্রাম-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মুক্তিরানী মাইতি বলেন আমরা বেশ কিছু মৎস্যজীবিদের হাতে মৎস্যজীবী নিবন্ধীকরণ কার্ড তুলে দিতে পেরেছি আগামীদিনে পয়লা এপ্রিল থেকে দুয়ারে সরাকার ক্যাম্প হবে সর্বস্তরে প্রচারিত হচ্ছে আরো বাকিদেরও এই পরিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ রয়েছে ।