ভারতের গ্রামীণ এলাকায় পশুপালন একটি জনপ্রিয় পেশা হিসেবে বিবেচিত হয়। পশুপালন থেকেও মানুষ ভালো মুনাফা অর্জন করছে। তবে অনেক খামারি তাদের দুগ্ধজাত পশুর সঠিক পরিচর্যা করতে না পারায় তাদের পশু অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাদের দুধ উৎপাদনের ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গরু-মহিষের দুধ থেকে তৈরি দই-পনির, ঘি প্রভৃতি পণ্য বাজারে ভালো দামে বিক্রি হয়। তবে এর জন্য আপনার পশুর দুধ খাওয়ানোর ক্ষমতা ঠিক থাকা প্রয়োজন। এটি তখনই ঘটবে যখন প্রাণীটি সুস্থ থাকবে। পশুদের সুস্থ থাকার জন্য সঠিক খাদ্যের প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্বাস্থ্যকর প্রাণীকে সরিষার তেল দিলে উপকার পাওয়া যায়। সরিষার তেলে ভালো পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। যা শরীরে শক্তি জোগায়। এমতাবস্থায় গরু-মহিষের বাচ্চা হলে সরিষার তেল দেওয়া যেতে পারে।
ডাঃ আনন্দ সিং, পশুপালন বিজ্ঞানী (কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র-২, সীতাপুর) বলেন, যখন খুব গরম পড়ছে। যদি পশুরা জলশূন্যতার শিকার হয়ে থাকে এবং তাদের মধ্যে শক্তি অবশিষ্ট না থাকে তবে তাদের সরিষার তেল খাওয়া উচিত। এ ছাড়া পশুদের ঠাণ্ডা থেকে বাঁচাতে সরিষার তেলও পান করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ এইভাবে গরু-মহিষের যত্ন নিন, আগের থেকে বেশি দুধ পাবেন
তবে পশুকে প্রতিদিন সরিষার তেল দিলে উপকার হয় না। ডাঃ আনন্দ সিং-এর মতে, পশুরা অসুস্থ হলে বা শক্তির মাত্রা কমে গেলেই তাদের সরিষার তেল দিন। এছাড়াও, পশুদের একবারে 100-200 মিলি তেলের বেশি খাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। তবে, যদি আপনার মহিষ বা গরুর পেটে গ্যাস তৈরি হয়, তবে এই অবস্থায় অবশ্যই পান করার জন্য 400 থেকে 500 মিলি সরিষার তেল দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ কৃষকরা এই পশুখাদ্যকে লাভজনক মনে করছেন, গরুর দুধ দ্বিগুণ হবে
ডাঃ আনন্দ সিং বলেছেন যে অসুস্থ প্রাণীদের সরিষার তেল দেওয়া তাদের হজমের সঠিক প্রক্রিয়া। এ ছাড়া তাদের শক্তির মাত্রা অক্ষুণ্ন থাকে। যা আপনার পশুদের পশুদের সুস্থ রাখে। এমতাবস্থায় দুধ খাওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।