কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ছত্তিশগড়ের ভূপেশ বাঘেল সরকারের গোধন ন্যায় যোজনা প্রতিদিন নতুন মাইলফলক অর্জন করছে। এর আওতায় এখন গাওথানেও ছাগল প্রজনন কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় দুর্গ জেলার গোথানে ওসমানবাদী ছাগলের একটি প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে । এ জন্য জেলা প্রশাসন অত্যন্ত কার্যকরভাবে কাজ করেছে। এখানে মুরগি পালনের জন্য খামারিদের মুরগি সরবরাহের জন্য বিপুল সংখ্যক হ্যাচারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এবং এখন উচ্চ জাতের ছাগল সরবরাহের জন্য ওসমানবাদী ছাগলের জন্য একটি প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ওসমানবাদী ছাগল দূর্গ জেলার জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে নেয়।
পশুপালনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে, দুর্গের জেলা কালেক্টর পুষ্পেন্দ্র কুমার মীনার নির্দেশে এটি শুরু হয়েছে। এই প্রজনন কেন্দ্রটি কামধেনু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। এ জন্য মঙ্গলবার প্রথম ব্যাচের ২৫টি ছাগল ও ২টি ছাগলের একটি ইউনিট দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ হিমঘরের গাফিলতির জন্য পচে গিয়েছে আলু,ক্ষতিপূরন আদায়ে পথে নামলেন কৃষকরা
এখানে আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, দুর্গা জেলার খামারিরা ছাগল পালনে তেমন আগ্রহ না দেখানোর কারণ ছিল এখানে উচ্চ জাতের ছাগল পাওয়া যেত না এবং বাইরে থেকে আমদানি করতে হতো ।এটি আনতে প্রচুর খরচ হয়েছে, যার কারণে এখানকার খামারিরা ছাগল পালনের ব্যবসায় হাত দিতে ভয় পান । এখন গবাদি পশু পালনকারীরা গোথান থেকেই এই উচ্চ জাতের ছাগল নিতে পারবে। এতে করে জেলায় ছাগল পালনে ভালো পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং এখানকার খামারিরাও উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুনঃ ইংরেজি বলছেন কেন? এটা কি ইংল্যান্ড নাকি? কৃষকের মুখে ইংরেজি শুনে রেগে গেলেন নিতীশ কুমার
আসলে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল রাজ্যে কৃষিকাজের পাশাপাশি পশুপালনকে উন্নীত করার জন্য প্রজননের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ জন্য স্থানীয় পর্যায়ে গবাদি পশুপালকদের জন্য উচ্চ জাতের গবাদিপশু সহজলভ্য করা খুবই জরুরি ছিল।
ওসমানবাদী জাতের ছাগল সম্পর্কে-
ওসমানবাদী প্রজাতির ছাগলের যমজ হওয়ার হার মানে দুটি বাচ্চা দেওয়ার ক্ষমতা ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত।
এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই ভালো। যদি তাদের আরও ভালভাবে অনুসরণ করা হয়, তবে তাদের বৃদ্ধি খুব দ্রুত হয়।
NCBI (ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন) এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ছাগলের সাধারণভাবে একটি বাচ্চার জন্মের হার ৬১.৯৬ শতাংশ , দুটি বাচ্চার জন্মের হার ৩৭.০৩ শতাংশ এবং তিন বাচ্চার জন্মের হার ১.০১ শতাংশ। এই প্রেক্ষাপটে ওসমানবাদী ছাগল গুণগত বৃদ্ধির দিক থেকে অনেক ছাগল খামারিদের জন্য খুবই উপযোগী বলে প্রমাণিত হয়।